বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১১

মেমরি কার্ড, পেনড্রাইভ ফরম্যাট নিচ্ছে না? জেনে নিন ইউএসবি ডিস্ক ফরম্যাটের এক হালি সহজ উপায়

বিভিন্ন কারনে ইউএসবি ডিস্ক (ফ্ল্যাশ ডিস্ক) ফরম্যাট দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক সময় ভাইরাস বা অন্য কারনে ইউএসবি ডিস্ক (পেন ড্রাইভ, মেমরি কার্ড ইত্যাদি) ফরম্যাট নিতে চায় না।


তবে নিচের পদ্ধতিগুলোর যে কোন একটি অ্যাপ্লাই করলে ইউএসবি ডিস্ক সহজেই ফরম্যাট হবে।

১) কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করেঃ
এটি পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড ফরম্যাট করার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।
এক্ষেত্রে, যা করতে হবেঃ
  • প্রথমে Start থেকে Run এ গিয়ে "cmd" লেখাটি টাইপ করে এন্টার দিন।
  • যে উইন্ডোটি আসবে সেখানে লিখুন " Format K: "। লক্ষ্য করুন ইউএসবি ডিস্কটি K ড্রাইভ হিসেবে কাজ করছে বলে "Format K:" লেখা হয়েছে।
  • এন্টার দিন।
  • একটি উইন্ডো আসবে। এখানে "Y/N" চাইলে "Y" টাইপ করে এন্টার দিয়ে ডিস্কটি পুনরায় নরমালি ফরম্যাট দিয়ে দেখুন ফরম্যাট নিচ্ছে।
    ২) এনটিএফএস ফরম্যাটঃ
    পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডকে সাধারনত Fat 32 ফাইল অবস্থায় ফরম্যাট করা হয়। তবে Fat 32 এ সমস্যা হলে ডিস্কটিকে  NTFS এ ফরম্যাট করা যায়।
    এজন্য My Computer থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর ডান বাটন ক্লিক করে Properties> Hardware এ গিয়ে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডটি নির্বাচন করতে হবে।
    এরপর Properties> Policies থেকে Optimize for performance নির্বাচন করে ok ক্লিক করতে হবে।

    ৩) উইন্ডোজের ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা ডস ফরম্যাট ব্যবহার করেঃ
    এক্ষেত্রে Start থেকে Control Panel এ গিয়ে Administrative Tools এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। তারপর Computer Management এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভ/ মেমরি কার্ডসহ সব কটি ড্রাইভের লিস্ট দেখাবে। সেখান থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।

    ৪) সফটওয়্যার ব্যবহার করেঃ
    উপরের কোন পদ্ধতিতে ইউএসবি ডিস্ক ফরম্যাট না হলে HP USB Disk Storage Format Tool সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই টুল দিয়ে ইউএসবি ডিস্ককে ডস স্টার্টআপ ডিস্কও বানানো যাবে। সফটওয়্যারটির ব্যবহার খুবই সহজ। মাত্র ৭৭৭ কিলোবাইটের সফটওয়্যারটি নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিজেই ব্যবহার করে দেখুন।
    ডাউনলোড 

    ট্রিক্সগুলো ভাল লাগলে লাইক ও কমেন্ট করবেন।
    ধন্যবাদ।

    অনলাইনে পড়ুন ৫ টি জাতীয় পত্রিকার হবহু সংস্করণ

    বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন পত্রিকার জয়জয়কর অবস্থাযার প্রমাণ Alexaবাংলা ভাষায় প্রকাশিত ওয়েবসাইটের প্রথম তিনটিই হচ্ছে সংবাদপত্রেরতবে অনেকেই আছেন যারা এখনও কাগজের পত্রিকা পড়তেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেনআমি তাদের মধ্যে একজন কিন্তু গবেষকগণ বলছেন, ২০৪০ সালের পর থেকে নাকি পৃথিবীতে আর কোন কাগজের সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না, তার জায়গা দখল করবে পত্রিকার ডিজিটাল ভার্সন!!! তাই এখন থেকে একটু একটু অভ্যাস করছি
    যারা আমার মত কাগজের সংবাদপত্র পড়তেই বেশি পছন্দ করেন, তাদের জন্য শেয়ার করলাম ৫ টি জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকার হুবহু অনলাইন সংস্করণের লিংকসাথে থাকছে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত জনপ্রিয় সব অনলাইন পত্রিকার লিষ্ট রয়েছে এমন একটি ওয়েবসাইট

    প্রথম আলো
    http://www.eprothomalo.com

    যুগান্তর
    http://www.ejugantor.com

    কালের কন্ঠ
    http://www.kalerkantho.com/epaper/

    সকালের খবর
    http://www.eshokalerkhabor.com

    জনকন্ঠ
    http://www.ejanakantha.com

    বাংলা ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকার লিষ্টঃ
    http://www.allbanglanewspaper.com

    ========== ধন্যবাদ ========== 

    শুনুন গান যখনই চান


    আপনি যদি নিজের পছন্দের গানটি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে শুনতে চান, তবে খুব সহযেই কম্পিউটার আপনাকে এই কাজটি করে দিতে পারে।

    এজন্য, প্রথমে আপনাকে আপনার পছন্দের গানগুলো যোগ করে নিতে হবে টাস্ক সিডিউলে। গান যোগ করতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরন করুন।

    Start> All programs> Accessories> System tools> Scheduled task  এ ক্লিক করুন।

    Scheduled task খুললে Add Scheduled Task এ ডাবল ক্লিক করুন।

    এখন Next বাটন ক্লিক করলে Application আসবে।

    Application এর নিচের প্রোগ্রাম থেকে গান বাজানোর উপযোগী কোন সফটওয়্যার যেমন-Windows Media Player, Winamp ইত্যাদির একটি সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করুন।

    এবার গান শোনার রুটিন অর্থাৎ দৈনিক/সাপ্তাহিক ইত্যাদির একটি সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করুন।

    সময় লিখে Finish বাটনে ক্লিক করুন।

    ব্যাস, হয়ে গেল কাজ। এবার নির্দিষ্ট সময়ে উপভোগ করুন নিজের পছন্দের গান। প্রক্রিয়াটি আপনার কম্পিউটার নিজে নিজেই করবে।

    ভাল থাকবেন সবাই। ভাল লাগলে লাইক মাস্ট। 

    কিভাবে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত

    পৃথিবীতে ভাইরাসের যেমন অভাব নেই, তেমনি কোন কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে তার লক্ষণেরও অভাব নেই। সাধারনত নিচের লক্ষণগুলো দেখলে ধরে নেয়া যেতে পারে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত।


    • টাস্ক ম্যানেজার ডিজ্যাবল হয়ে থাকলে-এটি বুঝার জন্য  Ctrl+Alt+Del চাপ দিন কিংবা টাস্কবার এ মাউস রেখে ডান বাটন চাপ দিন। টাস্ক ম্যানেজার উইন্ডোটি না আসলে অথবা টাস্ক ম্যানেজার অপশনটি যদি নিষ্ক্রিয় থাকে তবে বুঝবেন কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
    • রেজিস্ট্রি এডিটর নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে- এটি বুঝার জন্য স্টার্ট মেনু থেকে রানে গিয়ে regedit লিখে এন্টার দিন। যদি রেজিস্ট্রি এডিটর উইন্ডোটি না আসে তাহলে বুঝতে হবে সেটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
    • কম্যান্ড প্রমট নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে- এটি বুঝার জন্য রান এ গিয়ে cmd লিখে এন্টার দিন। যদি cmd উইন্ডোটি না আসে তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
    • স্টার্ট মেনুতে সার্চ অপশন না থাকলে।
    • কোন প্রোগ্রাম চালু নেই অথবা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম চালু নেই কিন্তু সিপিইউ এর ব্যবহার ৫% এর উপর দেখালে- এটি বুঝার জন্য Ctrl+Alt+Del চেপে পারফরমেন্স ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার উইন্ডোটির একেবারে নিচে স্ট্যাটাস বারে লক্ষ করুন।
    • কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ অথবা পেনড্রাইভে ডাবল ক্লিক করার পর ওপেন না হলে।
    • কম্পিউটারের ড্রাইভে অথবা পেনড্রাইভে ডান মাউস ক্লিক করলে ওপেন অপশনটি দ্বিতীয় অবস্থানে দেখালে কিংবা প্রথম অপশনটি ভিন্ন ভাষায় দেখালে।
    • কম্পিউটার যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
    • কম্পিউটার যদি থেমে থেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট নেয়। তবে কম্পিউটার অন্যান্য কারনে যেমন উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল মিসিং হলে, লো ভোল্টেজ থাকলে রিস্টার্ট হতে পারে।
    • খুব বেশি প্রোগ্রাম ইন্সটল নেই অথচ কম্পিউটার ওপেন ও শাটডাউন হতে দীর্ঘ সময় লাগলে।
    • কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে, বন্ধ করলে বা অন্য কোন কম্যান্ড দিলে তা এক্সিকিউট হতে বেশি সময় নিলে।
    • ফোল্ডার অপশন না থাকলে- এটি বুঝার জন্য মাই কম্পিউটার ওপেন করে টুলস মেনুতে গিয়ে ফোল্ডার অপশনটি লক্ষ করুন। এটি না থাকলে।
    • Hidden files & folders অপশনটি না থাকলে কিংবা কাজ না করলে। এটি দেখার জন্য মাই কম্পিউটার ওপেন করে টুলস মেনুতে গিয়ে ফোল্ডার অপশন এ ক্লিক করুন। এবার View ট্যাবে ক্লিক করে Show hidden files & folders এ ক্লিক করে ওকে করুন। এই ফাংশনটি কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য অপশনটিতে আবার আসুন। যদি পূর্বের মত Do not show hidden files & folders অপশনটিতে টিক চিহ্ন থাকে তাহলে বুঝবেন এটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
    • কম্পিউটার ওপেন হওয়ার সময় C:\windows কিংবা C:\my documents উইন্ডোসহ ওপেন হলে।
    • তেমন কোন প্রোগ্রাম ইন্সটল নেই কিন্তু সি ড্রাইভের স্পেস যদি ফুল বা পূর্ণ দেখায়।
    • অল্পতে কম্পিউটার ঘন ঘন হ্যাং হলে।
    • কোন মেসেজ যদি নির্দিষ্ট কোন এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে বলে।
    • কোন ওয়েবসাইটে যেতে গিয়ে অন্য ওয়েবসাইট এ চলে গেলে।
    • উইন্ডোজ ট্রে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কোন এরর মেসেজ বার বার দেখালে।
    • এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল হতে না দিলে, এন্টিভাইরাস কাজ না করলে, নিষ্ক্রিয় থাকলে কিংবা এন্টিভাইরাসটি নতুন করে রিস্টার্ট করতে না দিলে।
    • ডেস্কটপে কোন নতুন আইকন দেখলে যা আপনি রাখেননি কিংবা ইন্সটল করা প্রগ্রামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
    • কেউ কোন ফাইল বা ফোল্ডার হিডেন করেনি অথচ আপনি তা খুজে পাচ্ছেন না, আবার ডিস্ক স্পেস ঠিক দেখাচ্ছে।
    • কম্পিউটার ওপেন হওয়ার সময় লগ ইন অপশন আসে কিন্তু লগ ইন করলে কম্পিউটার ওপেন হয় না।
    • কম্পিউটার ওপেন হয়ে ডেক্সটপ আসে কিন্তু মাউস ও কীবোর্ড কাজ করেনা। 
    • এছাড়াও উইন্ডোজ এ অন্য কোন অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধরে নেয়া যেতে পারে। 
    ভাল থাকবেন সবাই আর ভাল ভাল কমেন্ট করবেন। পোষ্ট ভাল লাগলে দয়া করে লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। 
    বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে চাইলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন। 
    ধন্যবাদ।