শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১

ফেসবুকের কিছু স্পেশাল টিপস

প্রায় ৮০ কোটি অনলাইনপ্রিয় মানুষের মিলনমেলা ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে কখনো কখনো আমাদের কিছু প্রবলেম ফেস করতে হয় যার সমাধান তাৎক্ষনিকভাবে জরুরি হয়ে পরে।


এ সম্পর্কিত কিছু টিপস আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু।

ফেসবুকের পুরনো চ্যাটবক্স
ফেসবুক কিছুদিন পরপর পরিবর্তন আনছে। বেশ কিছুদিন হল ফেসবুক তার চ্যাটবক্সের সেটিংসও পরিবর্তন করেছে। কিন্তু বর্তমান চ্যাটবক্সের চেহারা অনেকেরই পছন্দ নয়।


তবে, ফায়ারফক্সের ছোটো একটি অ্যাড-অন ব্যবহার করে ফেসবুকের চ্যাটবক্সকে আগের মত করে ফেলতে পারেন। এজন্য, এই লিঙ্ক থেকে ২০ কিলোবাইটের FB Chat Sidebar Disabler নামের অ্যাড-অনটি ব্রাউজারে ইন্সটল করে নিন (Add to firefox> Restart firefox)।

দেখুন, ফেসবুক চ্যাটবক্সের চেহারা আবার আগের মত হয়ে গেছে।

কোন কারনে এটি কাজ না করলে Chat এ ক্লিক করে Option থেকে Use Old Style Chat সিলেক্ট করে দেখুন কাজ হয়ে গেছে।

ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড
ফেসবুকে অনেকেই ভিডিও প্রকাশ করেন যেগুলো সরাসরি ফেসবুকে দেখা গেলেও ডাউনলোড এর কোন সুযোগ থাকেনা।

ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে চাইলে,

  • প্রথমে যে ভিডিওটি ডাউনলোড করতে চান তার উপর রাইট ক্লিক করে Copy link address ক্লিক করুন।
  • এবার এই ঠিকানায় যান। 
  • Enter the video link এ আপনার কপি করা লিঙ্কটি পেস্ট করে দিয়ে Download এ ক্লিক করুন। 

ব্যস, হয়ে গেল।

ফেসবুকের Pending Friend Request দেখা
ফেসবুকে কাকে কাকে Add request করেছেন তা আগের সেটিংসে দেখা গেলেও বর্তমানের সেটিং তা শো করেনা।


তবে চাইলে ফেসবুকের একটি ছোট অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে Pending friend request গুলো বের করা যায় খুব সহজেই।

এজন্য, জাস্ট শুধু এখানে গিয়ে Allow করলেই দেখতে পারবেন আপনার Pending friend request গুলো। 

বন্ধ করে দিন মৃতব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
আপনার কোন ফ্রেন্ড বা আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে তার যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে তা বন্ধ করে দিতে পারেন। 

মৃত ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে এই ঠিকানায় গিয়ে সেখানকার ফরমটি পুরন করে Submit করুন।


তাহলে, ফেসবুক যাচাই করে ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেবে।

সতর্কতাঃ
জীবিত মানুষকে মেরে ফেলতে যাবেন না। তাহলে ক্ষতি আপনারই হবে। 

টিপসগুলো ভাল লাগলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে  লাইক দিন।
ধন্যবাদ।

ইন্টারনেটে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ 
দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে সর্বদলীয় সম্মেলনের মাধ্যমে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানিকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারান সম্পাদক এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক করে দেশের অন্যতম প্রাচীন এ রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।


বাংলাদেশের জনগনের অধিকার আদায়ের ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ দলটি শুরুতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে প্রতিষ্ঠা পায়। পরে মুসলিম শব্দটি কেটে দিয়ে দলের নতুন নামকরন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর এ দলটিই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠার ৬২ বছরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্তে ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সবচেয়ে বড় অর্জন।

দলটির ওয়েবসাইট হচ্ছে http://www.albd.org/

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের আরেকটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৩০ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশে ১৯ দফা কর্মসূচী শুরু করেন।


জেনারেল জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্তে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার

দলটির ওয়েবসাইট হচ্ছে http://www.bnpbd.com/

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের আরেকটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। মুল দল জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়ে এই দলে পরিনত হয়। দলটির মুল নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জেনারেল হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ। বর্তমানে মুল দল জাতীয় পার্টি ৩ টি অংশে বিভক্ত। মুল দলের নেতা এরশাদ তবে অন্য দুইটি অংশের নেতা যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও নাজিউর রহমান মঞ্জু।


এই দলটির ওয়েবসাইট হচ্ছে http://www.jatiyo-party.org/

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
এটি বাংলাদেশের আর একটি প্রধান রাজনৈতিক দল। পাকিস্তানের লাহোর শহরে ১৯৭১ সালের ২৬ আগস্ট তারিখে জামায়াতে ইসলামী এর প্রতিষ্ঠা। সেই সময় দলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাওলানা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী।


দলটির ওয়েবসাইট হচ্ছে http://www.jamaat-e-islami.org/

পোস্টটি যথাসম্ভব নির্ভুল তথ্য দিয়ে প্রকাশিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও কিছু ভুল থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই পোস্ট সম্পর্কে যেকোনো সঠিক তথ্য সাদরে গৃহীত হবে। আপনার মতামত কমেন্ট করে জানান। আর পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে লাইক ও শেয়ার করবেন আশা করি।

বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।
ধন্যবাদ।

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

মোবাইল ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে চাইলে

মোবাইল ব্যবহার করেছে কিন্তু ব্যাটারি নিয়ে ঝামেলায় পড়েনি এমন লোক বাংলাদেশে খুব কমই আছেন। ব্যাটারির হরেক রকমের সমস্যায় জর্জরিত মোবাইল ব্যবহারকারীরা। কারো চার্জ তারাতারি শেষ হয়ে যায়, কারো বা ব্যাটারি চার্জে দিলেই ফুল চার্জ দেখায়, চার্জে দিলে মোবাইল অফ, ওভারহিট আরও কত কি!


তবে নিচের টিপসগুলো মেনে চললে ব্যাটারির সব ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে বলে আমি মনে করিঃ

  • প্রয়োজন ছাড়া ওয়াই-ফাই জাতীয় ওয়্যারলেস কানেকশনগুলো অফ করে রাখুন। অনেকে ওয়াই-ফাই এর নেটওয়ার্ক নাই এমন এলাকাতেও ওয়াই-ফাই অন করে রাখতে পছন্দ করেন। এটি বর্জন করুন।
  • ইদানিং 3G মোবাইলগুলো বাজার দখল করে নিয়েছে। দ্রুত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতার জন্য iPhone 3G, Blackberry ইত্যাদি ব্রান্ডগুলো 3G ফিচার সরবরাহ করে থাকে। সম্ভব হলে, মোবাইলের EDGE ও GPRS ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করুন; 3G অফ রাখুন। 
  • অকারনে মোবাইল ভাইব্রেট করে রাখা বর্জন করুন। কিপ্যাডের সাউন্ড সাইলেন্ট করে রাখাটাই উত্তম। 
  • মোবাইল ডিসপ্লে এর আলো যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যতটুকু আলো হলে আপনি মোবাইলে কাজ করতে পারবেন ঠিক ততটুকু আলো রেখে বাকিটুকু কমিয়ে রাখুন।
  • মোবাইলের স্ক্রিন যথাসম্ভব সিম্পল রাখার চেষ্টা করুন। স্ক্রিন্সেভার ও এনিমেটেড ওয়ালপেপার গুলো আপনার মোবাইলকে রাঙিয়ে তুলবে ঠিক কিন্তু ব্যাটারির আয়ু আশঙ্কাজনক হারে কমিয়ে ফেলবে। 
  • মোবাইলের কোন অ্যাপ্লিকেশনের কাজ শেষ করার পর যত তারাতারি সম্ভব তা ক্লোজ করে রাখুন। 

  • মোবাইল গেমের ব্যবহার আপনার ব্যাটারি লাইফের ব্যস্তানুপাতিক। এদিকে লক্ষ্য রেখে গেম খেলুন।
  • অনেক মোবাইল আবার কম্পিউটারের মত অটোম্যাটিক আপডেট নেয়। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলের অটোম্যাটিক আপডেট বন্ধ করে দিন। 
  • যেসব এলাকায় আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক থাকে না সেসব এলাকায় মোবাইল বন্ধ করে রাখুন।
  • অকারণে মোবাইল ব্লুটুথ অন করে রাখবেন না। প্রয়োজন শেষে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন।
  • সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যাটারি পুরো খালি করে ফুল চার্জ দিন। এতে করে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু বাড়বে। সম্ভব হলে প্রতিবার ব্যাটারি পুরো খালি না করে চার্জে দিবেন না কিংবা ফুল চার্জ না হতেই আনপ্লাগ করবেন না। চার্জ দিতে অটোচারজার ব্যবহার না করে অরিজিনাল চারজার ব্যবহার করুন। 
  • ব্যাটারি ওভারহিট করা থেকে বিরত থাকুন।
  • অহেতুক মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।  
টিপসগুলি ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন। আপনাদের লাইক ও শেয়ার আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে চাইলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।
ধন্যবাদ। 

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

দূরত্ব নির্ণয় করুন আইপি অ্যাড্রেস থেকে

ধরুন অপরিচিত কেউ আপনাকে মেইল করেছে। ইমেইল ঠিকানা থেকে আপনি তার আইপি অ্যাড্রেস পেয়েছেন।

অথবা ধরুন, পরিচিত কোন বন্ধু ছদ্মবেশে মেয়ে/ছেলে সেজে ভিনদেশী হয়ে আপনার সাথে প্রেমের অভিনয় করছে। আপনি সেই মেইল থেকে আইপি অ্যাড্রেস (ইন্টারনেট প্রটোকল) পেয়েছেন।

এখন, আপনি চাইলে আপনার আইপি অ্যাড্রেস থেকে উল্লেখিত আইপি অ্যাড্রেসের দূরত্ব বের করতে পারবেন। আপনার আইপি অ্যাড্রেস ও প্রেরকের আইপি অ্যাড্রেসের অবস্থান কোথায়, একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব কত এবং এ দূরত্ব অতিক্রম করতে পায়ে হেঁটে, গাড়িতে বা বিমানে কত সময় লাগবে সবকিছু বের করতে পারবেন এন নিমিষেই।


কিভাবে?

হ্যা বলছি।

তার আগে চলুন দেখে নিই কিভাবে মেইল অ্যাড্রেস থেকে আইপি ঠিকানা বের করবেন?

  • প্রথমে আপনার মেইলে প্রবেশ করুন (ইয়াহু মেইল হলে ভাল হয়, অন্যগুলো ট্রাই করিনি)।
  • এবার আপনার ইনবক্সের যে মেইলের আইপি অ্যাড্রেস বের করতে চান তার উপর রাইট ক্লিক করে View full header এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মত। 

  • এবার ওখান থেকে "Received" লাইনটা খুজে বের করুন। ওখানেই মেইলটির আইপি অ্যাড্রেস দেয়া আছে। আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে। 

দুটি আইপি ঠিকানার দূরত্ব বের করতে যা করতে হবেঃ

  • প্রথমে এই ঠিকানায় যান। 
  • লক্ষ্য করুন নিচে বাঁপাশে IP Address or Host No.1 এ আপনার আইপি এড্রেস দেওয়া আছে।
  • IP Address or Host No.2 তে উক্ত আইপি অ্যাড্রেস টি বসান।
  • এবার, Show distance বাটনে ক্লিক করুন। 

দেখুন আপনার আইপি অ্যাড্রেস থেকে অন্য আইপি অ্যাড্রেসটি কত মাইল দূরে অবস্থিত, তার কাছে পায়ে হেঁটে যেতে কত সময় লাগবে, গাড়িতে যেতে কত সময় লাগবে, বিমানে যেতে কত সময় লাগবে সব দেখাচ্ছে এবং ডানপাশে একটি মানচিত্র দুটি আইপির অবস্থান ও দূরত্ব নির্দেশ করছে। মনে রাখবেন, আইপি অ্যাড্রেসের অবস্থান বলতে কোন সার্ভিস প্রভাইডার থেকে আইপি অ্যাড্রেসটির সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে তার অবস্থানকে বুঝান হয়। 

আপনি চাইলে আপনার আইপি ছাড়াও অন্য দুটি আইপি অ্যাড্রেসের মধ্যকার দূরত্ব একই পদ্ধতিতে বের করতে পারবেন। এজন্য IP Address or Host No.1 এর নিচের বক্সটি মার্ক করে ওখানে প্রথম আইপি ও IP Address or Host No.2 এ দ্বিতীয় আইপি অ্যাড্রেস বসিয়ে Show distance বাটনে ক্লিক করুন। 

পোস্টটি কেমন লাগলো জানাবেন। ভাল লাগলে দয়া করে লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।

ধন্যবাদ।

পেনড্রাইভের ভাইরাসকে না বলুন

সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে অনেক সময় আমাদের পেনড্রাইভ ভাইরাসের আঁখরা হয়ে উঠে। ফলে পেনড্রাইভে ওয়ার্ম বা ভাইরাস থাকলেও তা অনেক সময় সনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে দাড়ায়।


তবে, আপনি চাইলে খুব সহজেই পেনড্রাইভে ভাইরাসের অস্তিত্ব সনাক্ত করতে পারেন। এজন্য, 
  • প্রথমে ইউএসবি পোর্টে আপনার পেনড্রাইভটি লাগান।
  • এরপর, Start>Run এ গিয়ে cmd লিখে এন্টার দিন। কমান্ড অপশন খুলবে। 
  • এখন, মাই কম্পিউটারে ঢুকে দেখে নিন আপনার পেনড্রাইভটি কোন ড্রাইভ (H,I,J,K ইত্যাদি) হিসেবে কাজ করছে। 
  • ধরুন, আপনার পেনড্রাইভটি কম্পিউটারে K ড্রাইভ হিসেবে কাজ করছে। তাহলে, কমান্ড অপশনে K: লিখে এন্টার দিন। 
  • এরপর, dir/w/o/a/p এই কমান্ডটি হুবহু লিখে এন্টার দিন। 
  • এখন আপনি পেনড্রাইভে থাকা সবগুলো ফাইলের তালিকা দেখতে পাবেন। ফাইলের তালিকায় Bha.vbs, Iexplore.vbs, RVHost.exe, Ravmon.exe, New Folder.exe, Autorun.inf ইত্যাদি এক্সটেনশনের কোন ফাইল আছে কিনা ভাল করে তা দেখে নিন। 
  • যদি থাকে তাহলে attrib -h -r -s -a *.* কমান্ডটি লিখে এন্টার চাপুন।
  • এরপর del filename লিখে এন্টার দিন। লক্ষ্য করুন, এখানে filename এর জায়গায় উক্ত ফাইলের নাম হুবহু লিখতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি যদি Autorun.inf ফাইলটি মুছতে চান তাহলে আপনাকে লিখতে হবে এভাবে "del Autorun.inf" । 

এভাবে আপনি আপনার পেনড্রাইভের সন্দেহজনক ফাইলগুলো মুছে ফেলতে পারেন খুব সহজেই। এছাড়া, সম্ভব হলে সর্বচ্চ সুরক্ষার জন্য নিয়মিত হালনাগাদ করা অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে পেনড্রাইভ ফুল স্ক্যান করে নিন। 

পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রযুক্তি কোন লুকিয়ে রাখার জিনিস নয়; প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিন সবার কাছে। বিকন ব্লগের সুন্দর সুন্দর সব কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে ব্লগের ফেসবুক ফ্যানপেজটিতে লাইক দিন। 
ভাল থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ। 

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১১

সিডি বা ডিভিডি কপি না হলে...

অনেক সময় সিডি বা ডিভিডি পুরনো বা নষ্ট হয়ে গেলে অথবা বেশি বেশি চালালে সিডি/ডিভিডির ফাইলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর সেগুলো কপি হতে চায় না।

আপনার অনেক দরকারি তথ্য হয়ত সিডি বা ডিভিডিতে জমা (কপি) করে রেখেছেন, কিন্তু সেই সিডি বা ডিভিডি যদি ওপেন না হয় অর্থাৎ সেই তথ্যগুলো যদি আর পড়া না যায়, তাহলে আর আফসোসের শেষ থাকে না।


তবে আপনি চাইলে ছোট্ট একটি সফটওয়্যার এর সাহায্যে সেই নষ্ট সিডি বা ডিভিডির ফাইলগুলো কপি করতে পারেন খুব সহজেই। এজন্য,

  • প্রথমে এই লিঙ্ক থেকে "রিকভারি টুলবক্স" নামে মাত্র ৬৫৫ কিলোবাইটের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। 
  • আপনার পিসিতে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন।
  • ইন্সটল করার পর সফটওয়্যারটি ওপেন করে দেখুন আপনার সিডি/ডিভিডি ড্রাইভটি দেখা যাচ্ছে। 

  • Next দিন।
  • আবারো Next দিন।
  • লক্ষ্য করুন, আপনার সিডি/ডিভিডির ফাইলগুলো দেখা যাচ্ছে।
  • এবার সব ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁ পাশ থেকে সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save এ ক্লিক করুন।আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু ফাইল কপি করতে চান তাহলে বাঁ পাশ থেকে নির্দিষ্ট বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save এ ক্লিক করুন।
  • ফাইলগুলো কপি হওয়ার পর "সি ড্রাইভে" গিয়ে দেখুন CDRestored নামে একটি নতুন ফোল্ডারের ভেতর ফাইলগুলো সেইভ হয়ে আছে এবং সেগুলো সেখানে ঠিকমতই আছে।   
কেমন লাগলো জানাবেন। জটিল জটিল সব কন্টেন্ট পেতে বিকন ব্লগ এ নিয়মিত আসুন।
ধন্যবাদ। 

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১

অব্যবহৃত সিমের মোবাইল নম্বর ভুলে গেলে...

মোবাইল ফোনে একাধিক সিম ব্যবহার এখনকার সর্বাধিক আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম একটি ইস্যু। সচরাচর একটি সিম খুব কম মানুষই ব্যবহার করেন। ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কারনে একাধিক ফোন নম্বর অনেককেই ব্যবহার করতে হয়। অনেকের সিমের পরিমান আবার এতই বেশি যে, কতটি সিম তার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে তার সঠিক হিসাবও তার কাছে নেই।


একাধিক সিম ব্যবহারের কারনে নম্বর মনে রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। অনেক সময় আমরা নিজের মোবাইল নম্বরটিই ভুলে যাই। সিম যদি নতুন হয় সেক্ষেত্রে ঘটনাটি ঘটে বেশি। ইদানিং দেখা যায়, বহুদিন আগে সিম কিনে রাখা হয়েছে; অফার পেয়ে সেটি চালু করতে গেলেই মনে হয় "নম্বর তো মনে নেই"। কল দিয়ে নম্বর জানতে গিয়ে দেখা গেল মোবাইলে যথেষ্ট পরিমান ব্যলাঞ্চ নেই। কার্ড রিচার্জ করে মোবাইল নম্বর বের করা বেশ ঝামেলার ব্যপার। 

কাজটি এত ঝামেলা করে না করে কিছু ট্রিকস দিয়ে সহজেই সমাধান করতে পারেন এভাবেঃ 
  • গ্রামীনফোন (প্রিপেইড) ঃ *১১১*৮*২#
  • গ্রামীনফোন (পোস্টপেইড) ঃ *১১১*৮*৩# 
  • রবি ঃ *১৪০*২*৪# অথবা ১২০০ নম্বরে কল করে ৪ প্রেস করুন (ফ্রি)
  • বাংলালিঙ্ক ঃ *৬৬৬*৮*২# 
  • এয়ারটেল ঃ *১২১*৬*৩#
ট্রিকসটি ভাল লাগলে কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করুন। ভাল থাকবেন সবাই।
বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে চাইলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন। 
ধন্যবাদ।

ঝকঝকে বাংলা লেখা পড়ুন অনলাইনে

কেমন আছেন সবাই। নিচের ছবি দুটো ভাল করে লক্ষ্য করুন দেখি।


উপরের ১ ও ২ নং ছবিগুলো একই পেইজের দুটি ভিন্ন চেহারা। বলুন দেখি, কোন ছবিটিকে সবচেয়ে বেশি কিউট লাগছে?

হ্যাঁ।

আপনি ঠিকই ধরেছেন। ছবি ১ ইজ দ্যা বেস্ট। 

কি, লোভ লেগে গেল নাকি?

তাহলে চলুন দেখা যাক, কিভাবে ঝকঝকে তকতকে বাংলা পড়বেন অনলাইনেঃ

প্রথমে Solaiman Lipi নামের মাত্র ২৩২ কিলোবাইটের একটি বাংলা ফন্ট ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে। তারপর ফন্টটি কপি করে Control panel এর Font এ পেস্ট করে দিন।

এরপর......

Firefox ব্যবহারকারীরাঃ
  • মেনুবারের Tools থেকে Options এ যান।
  • এরপর Content ট্যাবে গিয়ে Fonts & colors এর অধীনে থাকা Default font এর পাশে Advanced অপশনে ক্লিক করুন।
  • নতুন উইন্ডোতে সেটিংসগুলো নিচের মত করে দিন।
  • লক্ষ্য রাখবেন, Default character encoding যেন "Unicode (UTF-8)" করা থাকে।
  • Ok করে বেরিয়ে আসুন।

Google Chrome ব্যবহারকারীরাঃ
  • প্রথমে ব্রাউজারের নিচে দেখানো আইকনটিতে ক্লিক করে Options এ যান।
  • Options এর অধীনে থাকা বামপাশের Under the hood এ ক্লিক করুন। 
  • এবার ডানপাশ থেকে Web content এ Customize font এ ক্লিক করে সেটিংগুলো নিচের মত করে দিন।
  • এবার দেখুন মজা।
পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে আপনার ভাললাগা প্রকাশ করুন।

বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে চাইলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।

ধন্যবাদ।

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১

কপি ফাস্ট করার কিছু অসাধারণ টুল


১) Fast Copy:

এটি একটি ছোট ইউটিলিটি প্রোগ্রাম যা উইন্ডোজের ফাইল ও ফোল্ডারগুলিকে অত্যন্ত দ্রুত কপি ও মুভ করার সুযোগ দেয়।

ফিচারঃ
  • দ্রুত ফাইল কপি করে
  • খুব ছোট সাইজ
  • ফাইল ও ফোল্ডার উভয়ক্ষেত্রেই কপি ও মুভ করা যায়
  • প্রোগ্রামটি রান করার ফলে পিসি কখনো স্লো হয়না
আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে


সফটওয়্যারটি পোর্টেবল তাই ইন্সটল এর ঝামেলা নেই। ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে (৫৪১ কিলোবাইট)।

২) Teracopy:

এটি এমন একটি কম্প্যাক্ট প্রোগ্রাম যা উইন্ডোজের ফাইলগুলোকে সম্ভাব্য সর্বাধিক দ্রুতগতিতে ট্রান্সফার করতে ব্যবহৃত হয়। 

প্রোগ্রামটির অন্যান্য ফিচারগুলো হলঃ
  • ফাইল ট্রান্সফারে Pause ও Resume সাপোর্ট করে
  • শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফাইল Skip করে যেকোনো এরর মেসেজ রিকভার করা যায়
  • ট্রান্সফারে ব্যর্থ ফাইলগুলোকে Recopy করার সুযোগ দেয়
  • ইউনিকোড সাপোর্টেড
  • উইন্ডোজের ৬৪ বিট সাপোর্ট করে
আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে। 


সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে (২.২১ মেগাবাইট)। 


৩) Copy Handler:

উইন্ডোজের ফাইলসমুহকে ৬-৭ গুণ দ্রুততার সাথে ট্রান্সফার করে। 

ফিচারঃ
  • ফাইল ট্রান্সফারে ইউজারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রদান করে (যেমন pause, resume, restart, cancel ইত্যাদি)
  • ৬০ টিরও বেশি অপশন দ্বারা প্রোগ্রামটি হাইলি কাস্টমাইজেবল
  • ইংরেজিসহ আরও অনেক ভাষা সাপোর্ট করে
  • কপি ও মুভ প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করে
  • ওপেনসোর্স সফটওয়্যার
আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে


সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে (৬.৩২ মেগাবাইট)। 

ভাল থাকবেন সবাই।
ধন্যবাদ।


মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

মাউজ-কিবোর্ডের অ্যাকটিভিটি হোক সুরময়

সারাদিন কম্পিউটারে কতনা কাজই করতে হয় আমাদের। শত শত বার ক্লিক করতে হয় মাউজ ও কিবোর্ডের কিগুলো। কল্পনা করুনতো আমাদের মাউজ ও কিবোর্ডের ক্লিকগুলো যদি হয় সুর ও ছন্দময় তাহলে কেমন হয়?


হ্যা। মন্দ হয় না।

তেমনি একটি ছোট প্রোগ্রাম Funny Typing যা আপনার প্রতিদিনের মাউজ ও কিবোর্ডের ক্লিকগুলোকে করবে ছন্দময়।

Funny Typing কি? 
এটি একটি অত্যন্ত কিউট, ছোট ও ইউজার ফ্রেন্ডলি প্রোগ্রাম যা আপনার প্রতিদিনের টাইপিং কে করবে আরও সুরময়। ১২ ধরনের সাউন্ড দিয়ে তৈরি এই সফটওয়্যারটি পিসিতে ইন্সটল থাকলে আপনি যতবারই মাউজ ও কিবোর্ডের কিগুলো প্রেস করবেন ততবারই এটি তার নিজস্ব সাউন্ড দিয়ে আপনার টাইপিংকে করবে আকর্ষণীয় ও ছন্দময়।

Funny Typing এর কিছু ফিচারঃ
  • এটি ব্যবহারে আপনার টাইপিং কখনো বোরিং ফিল হবেনা।
  • ১৮ ধরনের কি এর জন্য এর রয়েছে প্রায় ১৪০ ধরনের কুল সাউন্ড। 
  • আপনি চাইলে আপনার কিবোর্ডের টাইপিং এর এনিমেশন হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • Sound scheme কে আপনার মনের মত করে freely এডিট করে নিতে পারবেন।
  • অটোপ্লে সাপোর্ট করে এবং Wave ফাইলগুলোর প্রিভিউ।
  • মাল্টি ভার্চুয়াল ক্লিপবোর্ড, দ্রুত শাটডাউন, ভলিউম কন্ট্রোল, এবং দ্রুত রিস্টার্ট টুলস।
  • খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি। 
সফটওয়্যারটির ইন্সটল প্রক্রিয়া খুবই সহজ। জাস্ট ইন্সটল দিলে টাস্কবার এ সফটওয়্যারটির একটি আইকন চলে আসবে।

ব্যবহারঃ
লক্ষ্য করুন, আপনি দুই ভাবে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। 
  • ট্রায়াল ভার্শন হিসেবেঃ ১৪ দিনের জন্য। 
  • ফুল ভার্শন হিসেবেঃ মুল ফাইলটি ইন্সটল করার পর ক্র্যাক ফাইলটি C:\Program files\Funny typing ফোল্ডার এ পেস্ট করে দিতে হবে। (আপনার অ্যান্টিভাইরাস ক্র্যাক ফাইলটিকে ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, তাই ডাউনলোড ও ইন্সটল এর সময় আপনার অ্যান্টিভাইরাস অফ রাখুন।  
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
ট্রায়াল ভার্সন এর জন্যঃ এখানে ক্লিক করুন (3.84MB)
ফুল ভার্সন এর জন্যঃ এখানে ক্লিক করুন (6.34MB)

পোস্টটি কেমন লাগলো জানাবেন। প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১১

ফাইল সেভ করতে পারেননি?

অনেক সময় কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করার সময় হঠাত বিদ্যুৎ চলে যায়। ইউপিস থাকলে তো কথা নেই। কিন্তু না থাকলে হয় ঝামেলাটা। বিদ্যুৎ তো আর বলে কয়ে চলে যায়না যে আপনি আপনার অতি কষ্টের ওয়ার্ড ফাইলটি সেইভ করবেন! তখন আর আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।


আবার ধরুন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলটি পেনড্রাইভে করে কোথাও নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। কাজ করা শেষ, কিন্তু পেনড্রাইভে সেন্ড করার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেল। দুঃখটা আরও বেশি হয়। বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত আপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা।

মাইক্রোসফট অফিসের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে অটো রিকভারি নামে একটি সুবিধা থাকে। এটি সক্রিয় করে রাখলে ওয়ার্ড ফাইলের লেখাগুলো পুনরায় উদ্ধার করা সম্ভব।

আপনি চাইলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অটো সেইভ অপশনটি একটিভেট করে রাখতে পারেন।
এজন্য নিচের ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করুনঃ
  • প্রথমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের উপরে বামপাশ থেকে File এ ক্লিক করে Save as থেকে কোন একটি অপশনে ক্লিক করুন। 
  • এখন নিচে বামপাশের Tools মেনু থেকে Save অপশন এ ক্লিক করুন (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভার্সনে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে)।
  • নতুন উইন্ডো এলে Save auto recover...... অপশনটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে ডানপাশে 1 minute নির্বাচন করে Ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন (ছবি বড় করে দেখতে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খলুন)।  

এখন থেকে ওয়ার্ড থেকে কোন ফাইল খুলে কোন কিছু লিখলে প্রতি এক মিনিট পরপর ফাইলটি অটো সেইভ হবে। হঠাত করে বিদ্যুৎ চলে গেলেও কোন সমস্যা হবেনা কারন কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার ১ মিনিট পূর্বেই লেখাগুলো অটো সেইভ হয়ে থাকবে। 

আপনি যদি কম্পিউটারে কাজ করে ওয়ার্ড ফাইলটি পেনড্রাইভে করে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে চান, তাহলে ওই ফাইলটি পেনড্রাইভে খুলুন বা পেনড্রাইভে সেইভ করে কাজ শুরু করুন। তাহলে, বিদ্যুৎ চলে গেলেও ওই ফাইলটি পেনড্রাইভে সেইভ থাকবে। 

কেমন লাগল জানাবেন। বেশি বেশি কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার আমাকে সামনে এগিয়ে নিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
ধন্যবাদ।

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১১

যেভাবে হ্যাক হচ্ছে ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো (এক্সক্লুসিভ)

প্রায় ৮০ কোটি মানুষের মিলনমেলা ফেসবুক এখন চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। চলতি মাস নভেম্বরেই ফেসবুকের প্রায় ১ কোটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ নভেম্বর রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৬০ লাখ অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়। ফলে হ্যাকারদের হামলায় অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফেসবুক। বিষয়টি স্বীকার করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে।

যেভাবে হ্যাক হচ্ছেঃ 
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর প্রায় ৭ ধরনের পদ্ধতি আছে যা এখানে ও এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুক হ্যাকিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে কিলগার নামে একটি সফটওয়্যার। 

সম্প্রতি কিলগার ছাড়াও ফেসবুক হ্যাকিং নামে একটি বিশেষ ধরনের 'জিপ ফোল্ডার' ব্যবহার করছেন হ্যাকাররা। মূলতঃ এটি ফিশিং নামে পরিচিত। 


ফেসবুক হ্যাকিংয়ের দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনেক সহজ এবং বিপজ্জনক। এ ফোল্ডারে দুটি ফাইল থাকে। এ দুটি ফাইল হ্যাকারদের ওয়েব হোস্টিং সাইটে আপলোড করে এর একটি লিংক যার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হবে, তার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সাধারণত মেসেজ অপশন ব্যবহার করে। হ্যাকার তার কাঙ্ক্ষিত অ্যাকাউন্টধারীর ফেসবুক বন্ধু হলে তার ওয়ালেও পেস্ট করে দেয়। আর ওই লিংকটিতে ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্লিক করা মাত্র তার ই-মেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারের ওয়েব হোস্টিং পাতায় উল্লেখিত ফাইলে। হ্যাকার ফাইলটি খুলে তার কাঙ্ক্ষিত ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারীর পাসওয়ার্ড পেয়ে যাচ্ছেন আর দখলে নিচ্ছেন অ্যাকাউন্টটি।


একই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্টও হ্যাকারদের দখলে চলে যাচ্ছে। অনেক হ্যাকার আবার বিভিন্ন ব্লগে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ট্রিকস হিসেবে বিশেষ জিপ ফোল্ডারটি আপলোড করে রাখছেন এবং "এটি ডাউনলোড করলে আপনিও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবেন"-এমন কিছু বাক্য লিখে রাখছেন। তবে সাবধান, ওই জিপ ফোল্ডারে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে স্প্যাম। এর ফলে জিপ ফোল্ডারটি কারও কম্পিউটারে ডাউনলোড করে খোলার জন্য ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে স্প্যামটি উইন্ডোজের মূল অপারেটিং ফাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ফাইল, ফোল্ডার এবং অনলাইনে যত সাইটে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন, তার সবকিছু হ্যাকারের দৃষ্টিসীমার ভেতর পাঠিয়ে দেবে।

পরিচিত বন্ধুদের কাছ থেকে লিঙ্কগুলো শেয়ার হচ্ছে কিভাবে?
এর উত্তর হচ্ছে, প্রথমে হ্যাকার কারো অ্যাকাউন্ট এর দখল নিজের হাতে নিয়ে নিচ্ছে, তারপর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তার সব গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেন্ডদের ওয়াল এ উক্ত লিঙ্কটি পোস্ট করে দিচ্ছে। যেইই ওই লিঙ্কে ক্লিক করছে তার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাচ্ছে হ্যাকারের কাছে। মজার ব্যপার হচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন আইডি হ্যাক করার পর হ্যাকার তার পাসওয়ার্ডের কোন পরিবর্তন আনছেন না। ফলে, ভিকটিম বুঝতেই পারছেন না তার অ্যাকাউন্ট তিনি ছাড়াও অন্য কেউ পরিচালনা করছেন। 

জিপ ফোল্ডারটি তারা কিভাবে তৈরি করছে?
জিপ ফোল্ডার এর সাহায্যে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে হ্যাকাররা নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করছেঃ
  • অনলাইনে প্রায় ১০০ ধরনের ওয়েবসাইট আছে যারা ফ্রি Web Hosting Account অফার করে থাকে। হ্যাকাররা প্রথমে যেকোনো ওয়েব হোষ্টিং সাইটে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলছে। 
  • এরপর তারা একটি ভুয়া লগিন পেইজ তৈরি করছে। এজন্যে, প্রথমে যে পেজের ভুয়া লগিন পেজ তৈরি করা হবে (যেমন, ফেসবুক) সেটিতে গিয়ে রাইট বাটনে ক্লিক করে View page source করে এইচটিএমএল কোডগুলো একটি নোটপ্যাডে কপি করে তা facebook.html নামে সেভ করে নিচ্ছে। 
  • তারপর, ডাটাগুলো একটি টেক্সট ফাইলে সেভ করার জন্য তারা একটি PHP Code তৈরি করছে (code.php)। 
  • এরপর, একটি ফাকা টেক্সট ফাইল নিচ্ছে যেখানে ভিকটিমের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডগুলো সেভ করা হবে (password.txt)। 
  • পরবর্তী ধাপে তারা facebook.html ও code.php এই ফাইলদুটিকে লিঙ্ক করে দিচ্ছে। ফলে, password.txt ফাইলটি code.php ফাইলের সাথে অটোম্যাটিক্যালি লিঙ্কড হয়ে যাচ্ছে। 
  • এরপর তারা উক্ত ফাইলগুলো একটি জিপ ফোল্ডারে পরিনত করে তাদের ফ্রি হোষ্টিং এ আপলোড করে লিঙ্কটি ভিকটিমের ওয়াল এ পোস্ট করে দিচ্ছে। যখনই ভিকটিম উক্ত লিঙ্কটিতে ক্লিক করছে, সাথে সাথে তার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডটি হ্যাকারের তৈরি করা password.txt ফাইলে গিয়ে সেভ হচ্ছে।
ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন

কিভাবে নিরাপদ থাকব? 
  • ফেসবুকের ফিশিং থেকে বাচতে হলে প্রথমেই যে সতর্কতাটি অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে তা হল, কোন ধরনের অযাচিত লিঙ্কে ক্লিক করবেন না; তা সে যেখান থেকেই আসুক না কেন। 
  • দেখে নিন, আপনার ফেসবুক আইডির প্রোটেকশন স্ট্যাটাস কততুকু। এজন্য, এই লিঙ্কে  গিয়ে উপরে ডান কোণায় Overall protection এ লক্ষ্য করুন। যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাব্যবস্থা সবল হয়, তাহলে High (সবুজ রং চিহ্নিত) থাকবে। 
ছবি বড় করে দেখতে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন
  • যদি নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল হয়, তাহলে low লেখাটি থাকবে। এরকম নিরাপত্তাব্যবস্থা সবল করবার জন্য আপনাকে তিনটি অপশন দেওয়া হবে। প্রথম অপশন থেকে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাধিক মেইল যোগ করবেন। দ্বিতীয় অপশনে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার মুঠোফোন নম্বর যোগ করতে হবে। তৃতীয় অপশনে নিরাপত্তা প্রশ্ন যোগ করুন। মনে রাখবেন, এটি সেটিং করার পর আপনি যখনি প্রথমবার কোন পিসি অথবা ব্রাউজার ওপেন করবেন তখনি আপনার মুঠোফোনে ৫ সংখ্যার একটি নিউমেরিক কোড পৌছেঁ যাবে। আপনি আপনার মুঠোফোন হতে প্রাপ্ত কোডটি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট এ লগিন করতে পারবেন।
  • মনে রাখবেন, হ্যাকাররা সাধারণত প্রথমে ই-মেইল আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে। আপনার ফেসবুক ইমেইল আইডি ও অন্যান্য পারসোনাল ইনফরমেশন যাতে কেউ দেখতে না পায়, সেজন্য Edit profile এ গিয়ে Contact information এ সেন্সেটিভ ইনফরমেশনের প্রাইভেসিগুলো "Only me" করে রাখুন। 
ছবি বড় করে দেখতে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন
  • ফেসবুক ও ইমেইল দুটির জন্য দুই ধরনের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন। ইমেইলের প্রোটেকশন স্ট্যাটাস শক্ত আছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিন। 
  • ইমেইলের ক্ষেত্রে রিকভারি ইমেইল কার সাথে করা আছে তা ভাল করে দেখে নিন এবং রিকভারি ইমেইলের প্রোটেকশন স্ট্যাটাস কতটুকু তাও ভাল করে দেখে নিন। মনে রাখবেন, আপনার রিকভারি ইমেইলগুলোর কোনটি হ্যাক করতে পারলে অন্য সবগুলো (এমনকি ফেসবুকও) মুহূর্তের মধ্যে হ্যাক করা কোন ব্যাপার না।
  • ইমেইল ও ফেসবুকের সিকুরিটি কোশ্চেন ও আনসারগুলো এমনভাবে নির্বাচন করুন যেটি আপনার কাছে কমন কিন্তু অন্যদের কাছে পুরা আনকমন।
  • অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন। 
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি, পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে। পোস্ট ভাল লাগলে দয়া করে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে চাইলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।  
ধন্যবাদ।

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

ফান ফটো তৈরির কতগুলো সাইট লাগবে?

আমরা অনেকেই ছবি নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। অনলাইনে অনেক সাইট আছে যেগুলো ফান ফটো তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অনেক সাইটের সাথে অনেকেই হয়ত পূর্বপরিচিত। তবে আমি আজ ফান ফটো তৈরি করার যতগুলো সাইট দেব, তার সবগুলোর সাথে আপনি পরিচিত নাও থাকতে পারেন।


সাইটগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও মজাদার। অসংখ্য ইফেক্ট পাবেন ফান ফটো তৈরি করার জন্য। শুধু তাই নয়, সাইটগুলোর সাহায্যে এনিমেশন ও কার্ডও তৈরি করতে পারবেন নিমিশেই। সাইটগুলোর ব্যবহারও অনেক সহজ, সাইটে গিয়ে শুধু ছবি আপলোড করুন আর মজা দেখুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ


ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ারের মাধ্যমে ভাললাগা প্রকাশ করবেন আশা করি।
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১১

ফায়ারফক্সের কিছু এক্সক্লুসিভ অ্যাড-অন্স

ওপেন সোর্স ব্রাউজার হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্সের আছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাই এটি দখল করে নিয়েছে ব্রাউজার বিশ্বের প্রথম স্থান। হাজারো অ্যাডঅন্স ফ্রিতে পাওয়া যায় বলে এই ব্রাউজারটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।


তেমনি কয়েকটি এক্সক্লুসিভ অ্যাড-অন্স দেখুন আজ। প্রতিটি অ্যাডঅন্স ইন্সটল করার নিয়ম হচ্ছে ইন্সটল লিঙ্ক এ গিয়ে Add to firefox> Restart firefox. চলুন তাহলে আলোচনায় প্রবেশ করিঃ

১) Moz Backup:
ফায়ারফক্স আপডেট করলে বা রি-ইনস্টল করলে অনেক সময় বুকমার্ক মুছে যায়। সে ক্ষেত্রে নতুন করে আবার সব ওয়েবসাইটের ঠিকানা বুকমার্ক, কুকিজ, পাসওয়ার্ড ও হিস্ট্রিসহ অন্যান্য সেটিংস সেভ করে নিতে হবে ম্যানুয়ালি। তবে এসব ঝামেলা থেকে বাঁচতে আগে থেকে মজিলা ফায়ারফক্সের ব্যাক-আপ নিয়ে রাখতে পারেন। এজন্য আপনাকে ব্যাবহার করতে হবে MozBackup নামের ১ মেগাবাইটের ছোট্ট একটি প্রোগ্রাম।  প্রোগ্রামটির ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে

২) Adblock Plus:
এটি দিয়ে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের অপ্রয়োজনীয় অ্যাড ব্লক করতে পারবেন খুব সহজেই। যে অ্যাড টি ব্লক করবেন তা সিলেক্ট করে কম্পিউটার এর মাউস এর রাইট বাঁটন চেপে নিচে লক্ষ্য করুন Adblock প্লাস এর দুটি অপশন আছে। ইচ্ছা মত সিলেক্ট করে অ্যাড থেকে মুক্তি পান। এই অ্যাডঅন্সটি পাবেন এখানে


৩) Bengali Dictionary:
বাংলা ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে বাংলায় ই-মেইল, পোস্ট, নিবন্ধ, ব্লগিং এবং মন্তব্যও। তবে ওয়েবে বাংলা বানান পরীক্ষক না থাকায় আমাদের বেশ বিপাকে পড়তে হয়। ফায়ারফক্সে একটি অ্যাড-অন্স যুক্ত করে বাংলা বানান পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। প্রথমে  অ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করতে হবে। এবার ওয়েবে বাংলা লেখার সময় মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Language থেকে Bangla/Bangladesh নির্বাচন করতে হবে। এবার যেকোনো ইনপুট বক্সে বাংলা লিখলে ভুল বানানের নিচে লাল আন্ডারলাইন প্রদর্শন করবে। বানানটি সংশোধন করতে শব্দটির ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে মেন্যুতে কিছু সাজেশন দেবে। এই অ্যাডঅন্সটি এখানে




৪) Score Watch:
বেশ কিছু ওয়েবসাইট এখন সরাসরি ক্রিকেট স্কোর দেখার সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে আপনি  এসব ওয়েবসাইটে না গিয়ে সরাসরি ব্রাউজার থেকেই ক্রিকেট স্কোর দেখতে পারবেন, এ জন্য ‘স্কোর ওয়াচ’ নামক অ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে নিন। এরপর ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করলে স্ট্যাটাস বারের ডান দিকে একটি স্কোর আইকন আসবে। স্কোর ওয়াচ মেন্যু থেকে চলতি সব খেলার স্কোর দেখতে পারবেন। যে খেলাটির স্কোর দেখতে চান, তার ওপর ক্লিক করুন, তাহলে সেই খেলার সম্পূর্ণ স্কোর দেখা যাবে। Performance থেকে Wicket Alert নির্বাচন করলে উইকেট পড়লেও আপনাকে বলে দেবে। স্কোর সোর্স পরিবর্তন করতে পারেন স্কোর ওয়াচ মেন্যুর Source- এর ড্রপডাউন মেন্যু থেকে। কোনো চলতি খেলার সম্পূর্ণ স্কোর দেখতে স্কোর ওয়াচ মেন্যুর ওই খেলার ডানের Full scorecard বাটনে ক্লিক করুন। অ্যাডঅন্সটি পাবেন এখানে



৫) WOT (Know Which Websites to Trust):
আপনি যে ওয়েব টিতে ঢুকছেন তা Trust করার মত কি না তা আপনাকে সতর্ক করে দেবে এই অ্যাড অন্স টি।
লিঙ্কঃ এখানে


৬) Flashblock:
আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ফ্ল্যাশ ভিডিও সাইট যেমন you tube ইত্যাদিতে ভিডিও দেখে থাকি। আবার বিভিন্ন ওয়েব এ অ্যানিমেটেড অ্যাডও দেখতে পাই। এগুলো ওয়েবে ঢুকলেই অটো খুলে যায়। এটি ব্যাবহারে আপনার ইচ্ছা অনুসারে ভিডিও বা অ্যানিমেটেড অ্যাড খুলবে। এতে আপনার ওয়েব পেজও তারাতাড়ি লোড হবে। এখানে পাবেন এটি।


৭) Mouseless Browsing:
শুধু কিবোর্ড ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সুবিধা দেবে এই অ্যাড-অন্সটি। ওয়েবপেইজের বিভিন্ন লিংক, বাটন ইত্যাদির পাশে কিছু ইউনিক নম্বর উল্লেখ করা থাকে। কোনো বাটনে ক্লিক করতে বা কোনো লিংকে যেতে কিবোর্ড দিয়ে ওই নম্বর টাইপ করে এন্টার প্রেস করলেই হবে। অ্যাডঅন্সটির লিঙ্ক এখানে


৮) Flagfox:
এটি দ্বারা আপনি যে ওয়েবসাইটে ঢুকছেন তার IP Addrees ও Server Location সার্চ বক্সের পাশেই দেখতে পাবেন।
এটির লিঙ্ক এখানে

৯) FastestFox (Browse Faster):
এটি ব্যাবহারে আপনার ওয়েব পেজ দ্রুত গতিতে চলবে আর অটোম্যাটিক নেক্সট পেজ লোড হবে।
এটি পাবেন এখানে

১০) FEBE:
এটি ব্যাবহার করে আপনি আপনার ফায়ারফক্স এর সকল ডাটা যেমন; history, Extention, Password, Theme ইত্যাদি ডাটা ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। এখানে ক্লিক করুন।


১১) Stylish:
এটি ব্যাবহার করে আপনি আপনার ফায়ারফক্স কে বিভিন্ন ভাবে Stylish করে তুলতে পারবেন। শুধু তাই নয় facebook, google, you tube কেও ভিন্ন রূপে দেখতে পারবেন। অ্যাডঅন্সটি অ্যাড করে এখানে গিয়ে পছন্দ মত Style বেছে নিতে পারবেন।
অ্যাডঅন্সটি পাবেন এখানে

১২) Password Maker:
এই অ্যাড-অন্সটি পাসওয়ার্ড তৈরিতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সাইট বা মেইলের জন্য ব্যবহারকারীরা হয়তো নির্দিষ্ট কিছু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে, যা নিরাপদ নয়। ভালো কিছু পাসওয়ার্ডের ধারণা পাওয়া যাবে এই অ্যাড-অন্সের মাধ্যমে।
এটি পেতে চাইলে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে।



১৩) FlashGot:
এটি ব্যাবহার করে আপনি কয়েকটি downloader একসাথে চালাতে পারবেন কোনও ঝামেলা ছাড়াই। আপনার ইচ্ছা মত downloader দিয়ে ডাউনলোড করুন মনের সুখে। পাবেন এখানে

১৪) Image Zoom:
এই অ্যাড-অন্স ইনস্টল করে নিলে ওয়েবপেইজের নির্দিষ্ট একটি ছবি বড় করে দেখা সম্ভব।
পাবেন এখানে

১৫) Tab Scope:
এটি দিয়ে আপনি আপনার ব্রাউজারের ট্যাব গুলো দেখতে পাবেন ক্লিক না করেই। Scope করে অন্য ট্যাবে না গিয়ে কাজও করতে পারবেন। এটি পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে এখানে



আজ এ পর্যন্তই। পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ারের মাধ্যমে আপনার ভাললাগা প্রকাশ করুন।
ধন্যবাদ।




বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১১

চায়না মোবাইল কেনার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে

বিখ্যাত অনেক ব্র্যান্ডও উন্নয়নশীল দেশের বাজারের কথা চিন্তা করে অল্প দামে ভালোমানের হ্যান্ডসেট বানিয়ে থাকে। ব্র্যান্ডেড সেট কেনার একটি সুবিধা হচ্ছে প্রায় সবগুলো ব্র্যান্ডেড সেট কোম্পানির নিজস্ব কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার আছে। সেটের জন্য বিনামূল্যে পরামর্শের পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে মোবাইল ঠিক করাও যায়। প্রয়োজনীয় এ ডিভাইসটি কিনতে তাই ভাবনা-চিন্তার অবকাশ থাকেই। অবশ্য তারও আগে বিবেচনা করা হয় এর গুরুত্বের বিষয়টি। স্টাইল এবং অবশ্যই বাজেটের কথাটাও এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয়।


সুন্দর স্টাইল ও কম বাজেটের কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে চায়না মোবাইলের কথা। মোবাইল ফোনের দ্রুত বর্ধনশীল বাজার এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় মোবাইল অপারেটরদের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল ফোন সংযোগের ভিত্তিতে ওয়্যারলেস ইন্টেলিজেন্স প্রণীত শীর্ষ ২০ অপারেটরের প্রথম স্থানটি এবারও ধরে রেখেছে চীনা অপারেটর চায়না মোবাইল।


আসুন তাহলে দেখে নেই চায়না মোবাইল কিনতে হলে কি কি বিষয় মাথায় রাখা জরুরিঃ
  • প্রথমেই দেখে নিন আপনার পছন্দের চায়না মোবাইলটি টাস্ স্কীন নাকি। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে না কেনাই ভাল। কারন চায়না মোবাইলের টাস্ স্কীন প্রযুক্তি মোটেও ভাল নয়।
  • পছন্দের চায়না মোবাইলটি দামের তুলনায় অনেক বেশী ফাং-ফুং নাকি। অর্থাৎ,দাম অনুয়ায়ী ফিচারের সংখ্যা অতিরিক্ত বেশি নাকি। যদি তা হয়ে থাকে, তবে সেই মোবাইল হ্যাং করার সম্ভবনা বেশী থাকে।
  • মোবাইল কেনার সময় ওয়াররেনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেটা চায়নাই হোক আর ব্র্যান্ড এর সেট যাই হোকনা কেন। ওয়ারেনটি ছাড়া কোন ফোন কিনবেন না।
  • আপনার পছন্দের চায়না মোবাইলটিকে GPRS মডেম হিসাবে ব্যবহার করা যাবে কিনা তা দেখে নিন। দেখার জন্য Menu > Setting > Phone setup > Uart Setup টি আছে কিনা তা দেখে নিন।
  • পছন্দের চায়না মোবাইলটির ডাটা কেবল এবং ব্যাটারি যেন পাওয়া যায় সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
  • সিলভার কালারের চায়না ফোনগুলো দেখলেই মনে হয় এটি চায়না ফোন। কালো কালারের চায়না ফোন কেনার চেষ্টা করুন।
  • কয়েকটি ভাল ব্র্যান্ডের চায়না ফোনের উদাহারন হচ্ছেঃ Symphony, Maximus, Sprint, VS & ME, Tecno, My Phone ইত্যাদি। 

আমরা অনেকেই দাম ও ফিচারের সমন্ময় করতে গিয়ে চায়না মোবাইল কিনেই বসি। কিন্তু পরে দেখা যায় ঐ মোবাইল দিয়ে অনেক কিছুই ঠিকমত চলছে না। তাই আমাদের উচিৎ ভালভাবে দখে শুনে এসব চায়না মোবাইল কেনা।

ভাল থাকবেন সবাই আর ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন।
ধন্যবাদ।