সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

ডুয়েল সিম ব্যবহারকারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রিকস

আমরা যারা ডুয়েল সিমের ফোন ব্যবহার করি তাদের ক্ষেত্রে একটি কমন প্রবলেম হচ্ছে সিম-১ দিয়ে কথা বলার সময় সিম-২ বন্ধ দেখায় অথবা সিম-২ দিয়ে কথা বলার সময় সিম-১ বন্ধ দেখায়। MCA ব্যবহার করে যদিও পরবর্তীতে সেই ব্যর্থ কলগুলো দেখা যায় কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা অনেক দেরি হয়ে পড়ে। আর কলগুলো যদি খুবই ইম্পরট্যান্ট হয় তাহলে তো কথাই নেই।


কিন্তু ভেবে দেখুন তো এমন যদি হত সিম-১ দিয়ে কথা বলার সময় সিম-২ এর কল ওয়েটিং দেখাবে কিংবা সিম-২ দিয়ে কথা বলার সময় সিম-১ এর কল ওয়েটিং দেখাবে তাহলে কেমন হয়?

নিশ্চয়ই মন্দ হয়না। এমন হলে ইম্পরট্যান্ট বা আনইম্পরট্যান্ট কোন কলই মিস যাবে না সময়মত।

প্যাচাল মেলা হইল। এবার আসুন দেখি কিভাবে করা যায় এই কাজটি।
১) প্রথমে আপনার সিম-১ ও সিম-২ এর কল ওয়েটিং একটিভেট না থাকলে একটিভেট করে নিন।
২) এবার Settings এর Call settings থেকে Sim-1 Call Settings এ গিয়ে Call Divert এ যান। (কোন কোন ফোনে Call Divert অপশনটি Settings এ নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে Call Divert অপশনটি খুজে বের করুন)।
৩) এবার Divert if unreachable বা Divert if out of reach এই জাতীয় অপশনে গিয়ে To other number এ যান।
৪) এখানে সিম-২ এর নাম্বারটি দিয়ে ওকে করুন।
৫) একইভাবে Sim-2 Call Settings এর To other number এ সিম-১ এর নাম্বারটি দিয়ে ওকে করুন।

মনে রাখবেন, সিম-১ বা সিম-২ এর কল ওয়েটিং দেখানোর সময় উপরে Divert এর একটি চিহ্ন আসবে যা দেখে আপনাকে বুঝে নিতে হবে সিম-১ বা সিম-২ এর কল Diverted হয়ে সিম-২ বা সিম-১ এ এসেছে। ওয়েটিং অবস্থায় কলটি রিসিভ করবেন না, তাহলে কলকারীর সমপরিমান ব্যালেন্স আপনার অ্যাকাউন্ট থেকেও কাটা যাবে।

ট্রিক্সটি ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে আপনার ভাললাগা প্রকাশ করুন।
========= ধন্যবাদ =========

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১২

হিটলারকে নিয়ে কিছু কথা

অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ অ্যাডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল জার্মানির সীমান্তবর্তী ব্রাউনাউ-আম-ইন গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম ছিল Alois ও মায়ের নাম ছিল Klaaraa. হিটলারের বাবা ছিলেন জারজ সন্তান। যতটুকু জানা যায়, আলোইসের মা মারিয়া আন্না ও সিকেলগ্রাবার প্রতিবেশি মিলশ্রমিক জোয়ান জর্জ হিটলারের মিলিত ফসল এই আলোইস হিটলার। সে হিসেবে হিটলারের দাদা ছিলেন একজন ইহুদি। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত জার্মানির ফিউরার ছিলেন।


বুদ্ধিজীবী, উন্নত সংস্কৃতি এবং শ্রমিক আন্দোলনকে মনেপ্রাণে ঘৃণাকারী ব্যাক্তি ছিলেন হিটলার। ছোটবেলা থেকেই হিটলার ছিলেন ভীষণ রগচাটা, একগুঁয়ে ও জেদি। মা মারা যাওয়ার পর সংসারের সব বন্ধন ছিন্ন করে হিটলার চলে যান ভিয়েনায়। ভিয়েনায় থাকাকালিন সময়েই তার মনের মধ্যে প্রথম জেগে উঠে ইহুদিবিদ্বেষ।

১৯১২ সালে ভিয়েনা ছেড়ে হিটলার চলে আসেন মিউনিখে। সেখানে অনেক দুঃখ-কষ্টে ২ বছর অতিবাহিত হয় হিটলারের। ১৯১৪ সালে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে হিটলার সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে যোগ দেন। এরপর তিনি যোগ দেন লেবার পার্টিতে। এক বছরের মধ্যেই তিনি এ পার্টির প্রধান হন। পার্টির নাম পরিবর্তন করে রাখেন ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি। পরবর্তীতে এই পার্টিকেই বলা হত নাৎসি পার্টি


হিটলারের নাৎসি পার্টির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। হিটলার চেয়েছিলেন জার্মানিতে যেন আর কোন রাজনৈতিক দল না থাকে। কিন্তু তার এ ষড়যন্ত্র ধরা পড়লে কারাবন্দি হন হিটলার। এক বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই একসময় জনপ্রিয় নেতায় পরিনত হন হিটলার। এক বছরের মধ্যেই পুরো জার্মানি তিনি নিজের নিয়ন্ত্রনে নেন।

নাৎসিরা তাদের বিরোধীপক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, দেশের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদি ও ফ্যাসিবাদি একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহন করেছিলেন যাতে সকল জীবন্ত অঞ্চলকে দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়।

১৯৩৪ সালে হিটলার রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে নিজেকে জার্মানির ফুয়েরার হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৩৫ সালে নতুন আইন চালু করে দেশের নাগরিকদের দুটি ভাগে বিভক্ত করেন। এ আইনে ইহুদিরা জার্মানিতে বসবাসের অধিকার পেলেও নাগরিকত্ব হারান।

বিশ্বজয়ের স্বপ্নে মত্ত হয়ে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মান বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমন করে। এই দিন থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বিশ্বজুড়ে গণহত্যার মধ্য দিয়ে একের পর এক দেশ দখল করতে থাকেন হিটলার। ফ্রান্সের পতনের পর ১৯৪১ সালে হিটলার বাহিনী রাশিয়া আক্রমন করে। প্রথমদিকে জার্মান বাহিনী সর্বত্র জয়লাভ করলেও মিত্রশক্তি যখন সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হতে শুরু করে তখন হিটলার বাহিনী ধীরে ধীরে পিছু হটতে থাকে।

অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়। হিটলারের রাজ্যজয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারনে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রান হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়।


হিটলার বাহিনী ৬০ লক্ষ ইহুদি ছাড়াও সোভিয়েত যুদ্ধবন্দী, কমিউনিস্ট, রোমানি ভাষাগোষ্ঠীর (যাযাবর) জনগন, অন্যান্য স্লাবিক ভাষাভাষী জনগন, প্রতিবন্ধী, সমকামী পুরুষ এবং ভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতাদর্শের মানুষদের উপর এই অমানবিক গণহত্যা পরিচালিত করে। নাৎসি অত্যাচারের সকল ঘটনা আমলে নিলে নিহতের সংখ্যা দাড়াতে পারে নব্বই লক্ষ থেকে এক কোটি দশ লক্ষের মত। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে "হলোকষ্ট" নামে পরিচিত।


১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলিতে হিটলার বার্লিনে ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে হিটলার তার প্রেমিকা ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। ইভা হিটলারকে গভীরভাবে ভালবাসতেন। বিয়ের পর হিটলার তার সঙ্গীদের সঙ্গে শ্যাম্পেন পান করেন। তারপর দুটি চিঠি লিখেন। একটিতে সবকিছুর জন্য তিনি ইহুদিদের দায়ি করেন এবং অপরটিতে নিজের সব সম্পত্তি তিনি পার্টিকে দান করে দেন।

বিয়ের আগে হিটলার ও ইভা ব্রাউন
৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ সাল। বার্লিনের চারদিক অবরোধ করে ফেলেছে লালফৌজ। হিটলার বুঝতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে তিনি লালফৌজ বাহিনীর হাতে বন্দি হতে পারেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি বাঙ্কার থেকে ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে তার সহযোগীদের সাথে শেষবারের মত দেখা করে আসেন। এসময় তিনি তার সহযোগীদের বলেন, তার মৃত্যুর পর যেন তার লাশ এমনভাবে পোড়ান হয় যাতে তার দেহের অংশের কোন চিহ্ন না থাকে। এর কিছুক্ষন পরেই গুলির শব্দ শোনা যায়। হিটলার নিজের পিস্তল দিয়েই আত্মহত্যা করেন। এর আগে তার সদ্য বিবাহিতা বউ ইভা বিষপানে আত্মহত্যা করেন।


চারদিক থেকে গোলা পড়ছে। তখন হিটলারের দুই সৈন্য তার মৃতদেহ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে বাগানে নিয়ে যান এবং এ অবস্থাতেই তাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। গোটা বিশ্বধ্বংসের খেলা শেষ করে নিজেই শেষ হয়ে যান অ্যাডলফ হিটলার।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, দৈনিক যুগান্তর ও কয়েকটি বাংলা ওয়েবসাইট 

======== পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ========

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

কি করবেন যদি ডেস্কটপের আইকনগুলো সিলেক্ট হয়ে থাকে?

জানা অজানা বিভিন্ন কারনে মাঝে মাঝে ডেস্কটপের শর্টকাট আইকনগুলো সিলেক্ট হয়ে থাকে। ফলে ডেস্কটপ আইকনগুলোর পেছনে এক ধরনের নীল রং হয়ে থাকে।
সমস্যাটি নিচের ছবিতে দেখান হলঃ

এই সমস্যা সমাধানের কিছু ট্রিক্স আমার জানা আছে, ট্রাই করে দেখতে পারেন।

প্রথম ট্রিক্সঃ
১) ডেস্কটপের ফাকা জায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ যান।
২) Desktop ট্যাব থেকে Customize desktop এ ক্লিক করুন।

৩) এবার Web ট্যাব থেকে My current homepage ছাড়া সকল কনটেক্সট ডিলিট করে দিন।

৪) My current homepage ও Lock desktop icons এ টিক চিহ্ন থাকলে তুলে দিয়ে ওকে করুন।

দ্বিতীয় ট্রিক্সঃ
১) My computer এ রাইট ক্লিক করে Properties এ যান।
২) এবার Advanced ট্যাবের Performance সেকশন থেকে Settings এ ক্লিক করুন।

৩) Use drop shadows for icon labels on the desktop বক্সে মার্ক করা থাকলে তুলে দিয়ে ওকে করুন।

তৃতীয় ট্রিক্সঃ
১) ডেস্কটপের ফাকা জায়গায় রাইট ক্লিক করে Arrange icons by নির্বাচিত করুন।

২) Lock web items on desktop এ টিক দেয়া থাকলে তা তুলে দিন।

ট্রিক্সগুলো ভাল লাগলে লাইক মাস্ট।
======= ধন্যবাদ =======

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১২

রিসাইকেল বিনের অপশন যুক্ত করুন মাউজের রাইট বাটনেই

(শুধুমাত্র এক্সপির জন্য প্রযোজ্য)

সাধারনত কম্পিউটারের ডিলিট করা ফাইলগুলো রিসাইকেল বিনে গিয়ে জমা হয়। রিসাইকেল বিন ডেস্কটপে অবস্থিত বলে তা খালি করার জন্য ডেস্কটপে আসতে হয় নতুবা ডিলিট করা ফাইলের ডিরেক্টরির সাইজ পূর্বের মতই শো করে।


রিসাইকেল বিন খালি করার জন্য বারবার ডেস্কটপে না এসে যদি যেকোনো স্থান থেকেই তা খালি করা যায় তাহলে কেমন লাগবে বলুন তো? ভাল লাগবে নিশ্চয়ই!

হ্যা। মাত্র ৬৩৭ বাইটের একটি ফাইল দিয়েই মাউজের রাইট ক্লিকে যুক্ত করে দিতে পারেন Empty recycle bin অপশনটি। ডেমো দেখুন নিচের ছবিতে।


  • ছোট্ট এই ফাইলটি প্রথমে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।
  • এবার ওখানে ডাবল ক্লিক করুন।
  • কোন মেসেজ আসলে Yes করুন। 
ব্যস। হয়ে গেল।

ট্রিকসটি ভাল লাগলে লাইক মাস্ট।
ধন্যবাদ।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

নেট স্পিডের ইনডিকেটর বানিয়ে ফেলুন কীবোর্ডের লাইটকেই

সাধারনত মোডেমের মধ্যে এক ধরনের LED ইনডিকেটর দেয়া থাকে যা ইন্টারনেট স্পিডের সাথে লাফালাফি করে। কিন্তু যদি এমন হয় যে ইন্টারনেট আপলোড ও ডাউনলোড স্পিডের সাথে কীবোর্ডের দুটি ইনডিকেটর আলাদাভাবে নাচানাচি করে তাহলে কেমন হয়?

নিশ্চয়ই মন্দ হয়না।

হ্যাঁ। মাত্র ২৪৮ কিলোবাইটের Network Lights নামের ছোট্ট এই প্রোগ্রামটি ডাউনলোড করে পিসিতে ইন্সটল দিলেই শুরু করে হয়ে যাবে এই নাচানাচি।

ইন্সটল করার পর Network Lights নামে টাস্কবারে একটি আইকন আসবে। ওখানে রাইট ক্লিক করে Settings মেনু থেকে আপনার পছন্দমত সেটিং করে নিতে পারবেন। আবার ভাল না লাগলে Exit করেও দিতে পারবেন নিমিষেই।

ডাউনলোড লিঙ্কঃ 

উইন্ডোজ যদি বারবার নষ্ট হয়

সুপ্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ছোট বাট গুরুত্বপূর্ণ টিপস।


উইন্ডোজ এক্সপি ও উইন্ডোজ ২০০০ মাঝেমধ্যে নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই নষ্ট হওয়ার মাত্রাটা যদি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাহলে বিরক্তির অন্ত থাকেনা। তবে নিচের টিপসগুলো ফলো করলে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এই ঝামেলা থেকে।

১) FAT ও NTFS ঝামেলাঃ কম্পিউটারে যদি একাধিক হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ও প্রতিটিতে যদি একাধিক ফাইল ব্যবস্থা (যেমন, FAT, NTFS ইত্যাদি) থাকে তাহলে সবগুলোকে NTFS এ রুপান্তর করে নিন।

২) ইউএসবি হাবঃ কম্পিউটারে ইউএসবি হাব থাকলে সেটি বিচ্ছিন্ন করে পরীক্ষা করুন এবং লক্ষ্য করুন অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট বা বন্ধ হয়ে যায় কিনা। বিশেষত ব্যবহারকারীর যদি ইউএসবিভিত্তিক পাম ফেডল থাকে এবং ব্যবহারকারী Hostsync করলেই যদি উইন্ডোজ নষ্ট হয় তাহলে এই কাজটি করতে হবে।

৩) ওভারহিটিং: সিপিইউ এর ফ্যান ঠিকমত কাজ করছে কিনা ও প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে কিনা তা ভাল করে পরীক্ষা করুন।

৪) সাউন্ড কার্ড ড্রাইভারঃ সাউন্ড কার্ডের ড্রাইভার আনইন্সটল করে পুনরায় ইন্সটল দিয়ে দেখুন সমস্যা সমাধান হয় কিনা।

আশা করি সমাধান পেয়ে যাবেন। ছোট্ট এই পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে লাইক দিতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।

ডেড সী বা মৃতসাগরের রহস্য

সী লেভেলের ৪০০ মিটার বা ১৩২০ ফিট নিচে ও ইসরায়েলের পূর্বাংশে অবস্থিত ডেড সী বা মৃতসাগর পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা নিম্নবর্তী স্থান হিসেবে পরিচিত। ডেড সী বা মৃতসাগরকে মৃত বলার কারণ হচ্ছে এই সাগরে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জাতীয় অণুজীব ছাড়া কোন মাছ ও জলজ প্রাণী বাঁচে না।


সাধারনত দেখা যায় মৃত মানুষেরা পানিতে ভেসে থাকে আর জীবিতরা ডুবে যায়। কিন্তু ডেড সী এর একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সাগরে কোন জীবিত মানুষ ডুবে যায়না। এর কারন হচ্ছে ডেড সী এর লবন। অন্যান্য মহাসাগরে লবনের পরিমান যেখানে ৫-৬% সেখানে ডেড সীতে লবনের পরিমান ২৫-৩০%। লবনের এই অতিরিক্ত উপস্থিতি ডেড সী এর পানির ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়।


অপরদিকে জীবিত মানুষের শরীরে যে চর্বি থাকে তার ঘনত্ব ডেড সীর পানির ঘনত্ব অপেক্ষা অনেক কম হয়ে থাকে। মানুষের শরীরের এই কম ঘনত্ব পানির প্লবতা বলকে বাড়িয়ে দেয়।

প্লবতা বা Buoyancy হচ্ছে কোন তরল পদার্থে অন্য কোন পদার্থ নিমজ্জিত করলে তরল পদার্থ কর্তৃক উপরের দিকে এক প্রকার বল প্রয়োগ করে এবং ওই পদার্থের ওজনকে বাঁধা দেয়। এই বাধাদানকারী বলই হচ্ছে প্লবতা বল।

পদার্থবিজ্ঞানের সুত্রানুসারে, প্লবতা = ঘনত্ব x আয়তন।
অর্থাৎ যত বেশি আয়তন তত বেশি প্লবতা বল। বেশি আয়তনের অর্থ হচ্ছে কম ঘনত্ব।


সেকারণে ফ্যাট মানুষেরা অনেক স্মুথলি ডেড সীতে ভেসে থাকতে পারে।

আরও কিছু কথাঃ 
১) অতিরিক্ত লবনের কারনে এই সাগরের ঢেউয়ে ও তীরে অনেক ফেনা জমে।


২) ডেড সী এর পানির লবনাক্ততা অন্যান্য সাগরের লবনাক্ততার চেয়ে প্রায় ৮.৬ গুন বেশি।
তথ্যসুত্রঃ  

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১২

আপনার ব্রাউজার কতটুকু নিরাপদ?

ইন্টারনেট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) দিয়ে ইমেইল, ফেসবুকসহ দরকারি অনেক সাইটে ঢুকার সময় মাঝে মাঝে মেসেজ আসে "Do you remember the password?".
বুঝে না বুঝে আমরা অনেকেই ইয়েস করে দেই। ইয়েস করার কারনে পাসওয়ার্ডটি ব্রাউজারে সেইভ হয়ে যায় যা অনেক সময় অ্যাকাউন্ট হ্যাক এর কারন হয়ে দাড়ায়। তবে একটু সতর্ক হলেই আমরা মুক্তি পেতে পারি এই ঝামেলা থেকে।

Google Chrome ব্যবহারকারীরাঃ 
১) আপনার ব্রাউজারের নিচে দেখানো স্থানে ক্লিক করুন।

২) Options এ ক্লিক করুন।

৩) বামপাশের Personal stuff থেকে Never save passwords মার্ক রেখে Manage saved passwords ক্লিক করুন।

৪) এখান থেকে সেইভ করা পাসওয়ার্ডগুলো ডিলিট করে দিন। 


Firefox ব্যবহারকারীরাঃ
১) ব্রাউজারের Tools থেকে Options এ ক্লিক করুন।

২) এবার Security ট্যাবে গিয়ে Remember passwords for sites বক্সের মার্ক তুলে দিয়ে ওকে করে পুনরায় ওই পেজটিতে এসে Saved passwords এ ক্লিক করুন।

৩) এবার সেইভ করা পাসওয়ার্ডগুলো ডিলিট করে দিন।

Internet Explorer ব্যবহারকারীরাঃ
১) ব্রাউজারের Tools থেকে Internet options এ ক্লিক করুন।

২) এবার Content ট্যাব থেকে Auto Complete এর Settings এ ক্লিক করুন। 

৩) এখন User names & passwords on forms এর ঘরের মার্ক তুলে দিয়ে ওকে করে পুনরায় ওই পেজে এসে Delete AutoComplete history তে ক্লিক করুন। 

৪) এখান থেকে আপনার পছন্দের অপশনগুলো সিলেক্ট করে Delete করে দিন।

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক দিতে ভুলবেন না।
ভাল থাকবেন সবাই।
ধন্যবাদ।

নিজেই হয়ে যান গ্রামীনফোনের কাস্টমার ম্যানেজার

এয়ারটেলের ই-পোর্টালের মত কিছুদিন আগে গ্রামীনফোনও চালু করেছে ই-কেয়ার সার্ভিস।
আপনারা অনেকে হয়ত বিষয়টি জানেন। যারা জানেন না শুধুমাত্র তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট।


যদি প্রশ্ন করেন "কি করা যাবে এই ই-কেয়ারের মাধ্যমে?"
তাহলে আমার উত্তর হবে "কি করা যাবেনা ই-কেয়ারের মাধ্যমে?"
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ই-কেয়ার অ্যাকাউন্ট এ লগিন করে আপনি নিজেই আপনার ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসগুলো চালু বা বন্ধ করতে পারবেন ইন্টারনেট থেকেই। তাছাড়া ইন্টারনেট প্যাকেজ, ব্যালেন্স, মেয়াদ, এফএনএফ নম্বর দেখা ও পরিবর্তন, কল হিস্টরি ইত্যাদিসহ আরও বহু অপশন পাবেন এই সার্ভিসটিতে। কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

আপডেটঃ


কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেনঃ
ই-কেয়ার সার্ভিসটি ব্যবহার করতে প্রথমেই আপনাকে আপনার গ্রামীনফোন সংযোগটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। নিচের স্টেপগুলো ফলো করুনঃ
  • এই লিঙ্কে যান। 
  • নিচের মত একটি রেজিস্ট্রেশন ফরম পাবেন। 


  • প্রয়োজনীয় ইনফরমেশনগুলো দিয়ে Create my account এ ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ডসহ একটি মেসেজ আসবে। 
  • এবার আপনার মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন। আরও একটি মেসেজ আসবে। ওই মেসেজে সিকুরিটি কোড উল্লেখ থাকবে যা কোন সার্ভিস চালু বা বন্ধ করতে কাজে লাগবে। মনে রাখবেন, প্রতিবার লগিন হলেই আপনার মোবাইলে একটি সিকুরিটি কোড আসবে। তাই, আপনার পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জেনে গেলেও সে আপনার কোন সার্ভিস চালু বা বন্ধ করে দিতে পারবেনা। সুতরাং পাসওয়ার্ড নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকুন।


  • লগিন হওয়ার পর নিচের মত একটি পেইজ পাবেন। এই পেজে আপনাকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলা হবে। পছন্দমত পাসওয়ার্ড নির্বাচন করে Change password এ ক্লিক করুন


  • পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের কনফার্ম মেসেজ পেলেই রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হবে। 



কিভাবে ব্যবহার করবেন?
১) লগিন অবস্থায় উপরের সবুজ বারের My Account এ ক্লিক করুন।



এখানে আপনাকে চারটি অপশন দেওয়া হবে। যথাঃ
  • View usage details: সিম অ্যাকটিভেশনের তারিখ, বর্তমান অবস্থা, বর্তমান ব্যালেন্স ইত্যাদি পাবেন এখানে।

  • View personal details: আপনার পারসোনাল তথ্য শো করবে।
  • Edit personal details: বুঝতেই তো পারছেন।
  • Change password: পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে চাইলে। 

২) উপরের সবুজ বারের Manage my service এ ক্লিক করলে পাবেন ১০টি অপশন।


  • Welcome tune: চালু, বন্ধ ও বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন এখানে। 


  • Friends & Family: সিমের এফএনএফ নাম্বারগুলো চেঞ্জ, ডিলেট ইত্যাদি করতে পারবেন।


  • Internet service: সিমের ইন্টারনেট প্যাকেজ, প্যাকেজের বর্তমান পরিস্থিতি ইত্যাদি শো করবে।


  • Missed Call Alert: MCA চালু, বন্ধ ও MCA বর্তমান স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। 


  • Call block service: কল ব্লকের যাবতীয় অপশন পাবেন এখানে।


  • Mobile backup: মোবাইল হারালেও হারাবে না কিছুই এখানে।


  • Music radio: জিপির মিউজিক রেডিও সার্ভিসের সকল অপশন এখানেই পাবেন। 


  • Prepaid migration: বর্তমান প্যাকেজ থেকে অন্য প্যাকেজে মাইগ্রেট করতে চাইলে।


  • Lost phone barring: এই অপশনটি আপাততঃ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
  • Request for service: নির্দিষ্ট কোন সার্ভিস চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন।



৩) উপরের সবুজ বারের Billing Service এ ক্লিক করলে পাবেন আরও তিনটি অপশন।


  • View billing information: বিল সম্পর্কিত তথ্য শো করে। ছবি দেখলেই বুঝবেন।

ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন

  • View payment/recharge history: কবে, কোন সময়, কত টাকা রিচার্জ করেছেন দেখতে পারবেন এখানে।


  • View call details: ই-কেয়ারের এই অপশনটি আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। ধরুন, আপনার প্রেমিকা আপনার অগোচরে চুকিয়ে প্রেম করছে অন্য কারো সাথে। এই অপশনটি ব্যবহার করে আপনি বের করতে পারবেন কবে, কখন, কোন নাম্বারে, কতক্ষন সে কথা বলেছে। তার জন্য অবশ্য ওই সিমের ই-কেয়ার পাসওয়ার্ড আপনাকে জানতে হবে। 


পোস্টটি আপনাদের কতটুকু ভাল লেগেছে জানিনা। তবে এই পোস্টের মাধ্যমে যদি আপনার এতটুকু উপকার হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে লাইক দিতে কৃপণতা করবেন না। আপনাদের সাড়া পেলে আমি বাংলালিঙ্ক নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ।