সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আপনার ইয়াহু মেইলে কে প্রবেশ করেছিল???

চলমান সাইবার যুদ্ধে ইউজারের ইমেইল নিরাপত্তা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন বিকন ব্লগ আপনার জন্য নিয়ে এল ইয়াহু মেইলের নিরাপত্তা বৃদ্ধির ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী একটি ট্রিক্স।

আপনার ইয়াহু মেইলে কখন, কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে, কে প্রবেশ করেছিল ইচ্ছে করলে আপনি তা বের করতে পারেন।

এজন্য যা করতে হবে তা হলঃ
১) প্রথমে এই লিঙ্কে যান।
২) আপনার ইয়াহু আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন।

৩) রিসেন্টলি আপনার অ্যাকাউন্ট এ ভিজিট করা মোট ১০টি দেশ, তারিখ, সময়, ব্রাউজার বা ইয়াহু মেসেঞ্জার ইত্যাদি এখানে শো করবে।

৪) Location এর স্থানে IP Address করে দিলে কোন কোন আইপি থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট এ সাইন ইন করা হয়েছে তা দেখতে পারবেন।

আইপি অ্যাড্রেসের অবস্থান বলতে কোন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার থেকে আইপি অ্যাড্রেসটির সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে তাকে বুঝায়। আপনি যদি সবসময় একই কম্পিউটার থেকে লগিন করে থাকেন এবং সবসময় একই কোম্পানির ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সবগুলো আইপি অ্যাড্রেস একই দেখাবে। অর্থাৎ আপনি যে কোম্পানির ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্ট এ গত দশবার লগিন করেছিলেন আইপি অ্যাড্রেস এর স্থানে তাই শো করবে।

যদি দেখেন ভিন্ন কোন আইপি বা ভিন্ন কোন সময় অর্থাৎ যা আপনার পরিচিত নয় এমন কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট এ লগিন করা হয়েছিল তাহলে আপনি ওই আইপি অ্যাড্রেসটির বিস্তারিত বের করতে পারেন। এজন্য,
১) প্রথমে এই লিঙ্কে যান।
২) অপরিচিত আইপি অ্যাড্রেসটি টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন।

৩) দেখুন ওই আইপিটি কোন সার্ভিস প্রভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি; এমনকি গুগল ম্যাপে শো করছে ওই আইপিটির অবস্থান।

৫) সবতো জানলেন, এবার আপনার প্রয়োজনমত ব্যবস্থা নিন।

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক ও কমেন্ট করবেন। ভাল থাকবেন সবাই।
============ ধন্যবাদ ============ 

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পেন্সিলে আঁকুন নিজের ছবি

কেমন হয় যদি নিজের পছন্দের ছবিটি পেন্সিলে আঁকা দেখেন?


সন্দেহ নেই খুব ভাল হয়।
কি ভাবছেন কাজটি অনেক কঠিন?
একদমই না। এজন্য আপনাকে লাগবে মাত্র ৯৪১ কিলোবাইটের Photo Sketch Maker সফটওয়্যারটি।


সফটওয়্যারটি পোর্টেবল, ইন্সটল দিতে হবেনা। 

কিভাবে কাজ করবেন? 
১) প্রথমে সফটওয়্যারটি চালু করে Open মেনু থেকে ছবিটি আনুন।

২) দেখুন, মুল ছবির পাশে ছবিটির পেন্সিল স্কেচ দেখা যাচ্ছে। 
৩) বামপাশের স্লাইডারটি টেনে পেন্সিল স্কেচের গভীরতা মনের মত করে নিন।
৪) নিচের লাল, নীল, বেগুনী ইত্যাদি ক্যানভাসগুলি থেকে পছন্দমত একটি সিলেক্ট করুন।
৫) সবশেষে উপরের File মেনু থেকে ছবিটি আপনার পিসিতে সেইভ করুন। 

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক ও কমেন্ট করবেন।
ভাল থাকবেন সবাই।
============ ধন্যবাদ ============ 

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

একটি প্রাণজুড়ানো ভিডিও কনভার্টার

মোবাইল ভিডিও কনভার্ট করার জন্য আমরা একেক জন একেক কনভার্টার ব্যবহার করি। সত্যি বলতে কি, কোন কনভার্টারই আমাদের ১০০% পছন্দ নয়। প্রত্যেক কনভার্টারই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ। কিন্তু আজ আমি আপনাদের এমন একটি কনভার্টার দেব, যা আপনার ১০০% সন্তুষ্টি অর্জন করবে ইনশাল্ললাহ। সব ধরনের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত iWisoft Free Video Converter.


ডাউনলোড করার পর সফটওয়্যার টি আপনার পিসিতে ইন্সটল করুন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করুন।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?
১) প্রথমে যে গানটি কনভার্ট করতে চান তা নিয়ে আসুন Add এ ক্লিক করে। এভাবে......

২) এবার সবার নিচে থাকা Profile ও Output ঠিক করে নিতে হবে। Profile ঠিক করুন এভাবেঃ Common video> MPEG-4 Movie (*.mp4). নিচের ছবিটি দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবেন।

৩) এবার Profile এর ডানে থাকা Settings এ ক্লিক করে সেটিংসগুলো মনের মত করে ঠিক করে নিন।

তবে চায়না জাতীয় মোবাইলের জন্য নিচের মত করে সেটিংসগুলো ঠিক করে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, Video এর Bitrate যত বেশি দিবেন গানের কোয়ালিটি তত ভাল হবে এবং একইসাথে গানের সাইজও বাড়বে। সব ঠিক করে Save as এ ক্লিক করে নতুন প্রোফাইলে সেভ করে নিলে পরবর্তীতে কাজগুলো পুনরায় আর করতে হবেনা।

৪) আপনি যদি গানটি ইডিট করতে চান তাহলে গানের উপর রাইট ক্লিক করে Edit ক্লিক করুন।

৫) লক্ষ্য করুন, আপনি যদি গানটি ফুল স্ক্রিন করতে চান তাহলে Crop ট্যাবের অধীনে থাকা ভিডিওটির অংশ সিলেক্ট করে Zoom=Full screen করে দিন।

৬) ইফেক্ট দিতে পারেন Effect ট্যাবে ক্লিক করে।

৭) গানের নির্দিষ্ট একটি অংশ কেটে নিতে পারেন Trim ট্যাবে ক্লিক করে।

৮) লোগো বা ছবি দিতে পারবেন Logo এর অধীনে থাকা Browse এ ক্লিক করে।

৯) ওয়াটারমার্ক বা জলছাপ দিতে পারবেন মনের মত। এজন্য Text ক্লিক করে ফাকা জায়গাটিতে আপনার টেক্সটটি লিখুন। 

১০) সবশেষে Start এ ক্লিক করলে কনভার্ট শুরু হবে এবং শেষ হলে তা Output এ গিয়ে সেইভ হবে। 

আরও কিছু অপশন পাবেন সফটওয়্যারটিতে যা আপনার প্রান জুড়িয়ে দেবে। বিশ্বাস না হলে নিজেই ব্যবহার করে দেখুন।

পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে লাইক ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আপনার অনুপ্রেরণাই আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। 
============ ধন্যবাদ ============

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নিজেই হয়ে যান বাংলালিংকের কাস্টমার ম্যানেজার

কিছুদিন আগে "নিজেই হয়ে যান জিপির কাস্টমার ম্যানেজার" নামে একটি পোস্ট করেছিলাম। কথা ছিল, পোস্টটি যদি পাঠকদের উপকারে আসে তাহলে আমি বাংলালিঙ্ক নিয়ে লিখব। গতকাল জনপ্রিয় পোস্টের লিস্টে পোস্টটি ১ নম্বর স্থানে এসেছে। তাই আর দেরি করতে পারলাম না, বাংলালিংক নিয়ে বসে গেলাম আজ। যারা গত পোস্টটি মিস করেছেন তারা একনজর দেখে নিতে পারেন এখান থেকে।


যদি প্রশ্ন করেন "কি করা যাবে বাংলালিংকের অনলাইন এই সার্ভিসটির মাধ্যমে?"
তাহলে আমার উত্তর হবে "কি করা যাবেনা বাংলালিংক অনলাইন সার্ভিসটির মাধ্যমে?"
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার বাংলালিংক অনলাইন অ্যাকাউন্ট এ লগিন করে আপনি নিজেই আপনার ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসগুলো চালু বা বন্ধ করতে পারবেন ইন্টারনেট থেকেই। তাছাড়া ইন্টারনেট সার্ভিস, ব্যালেন্স, মেয়াদ, এফএনএফ নম্বর দেখা ও পরিবর্তন, কল হিস্টোরি ইত্যাদিসহ আরও বহু অপশন পাবেন এই সার্ভিসটিতে। কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?
বাংলালিংকের এই অনলাইন সার্ভিসটি ব্যবহার করতে হলে প্রথমেই আপনার বাংলালিংক সংযোগটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। নিচের স্টেপগুলো ফলো করুনঃ
  • প্রথমে আপনার বাংলালিংক সিম থেকে Reg লিখে এসএমএস পাঠিয়ে দিন 9876 নম্বরে। 
  • ফিরতি মেসেজে পাসওয়ার্ডসহ বাংলালিংক একটি মেসেজ দিবে।
  • এবার এই ঠিকানায় যান।
  • মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Sign in করুন। 
  • সাইন ইন হয়ে গেলে আপনাকে একটি ফরম দেওয়া হবে। লাল স্টার চিহ্নিত ফিল্ডগুলো পূরণ করে Submit এ ক্লিক করুন।

সবকিছু ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হবে। এখন উপরের বার থেকে My connection এর Connection info তে ক্লিক করুন। 

এখানে আপনার সিমের বর্তমান কন্ডিশন, PIN কোড, PUK কোড, সিম একটিভেশনের তারিখ ইত্যাদি শো করবে। নিচের Value Added ServiceFriends & Family তে ক্লিক করলে আপনি যথাক্রমে আপনার সিমের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস ও এফএনএফ নম্বর বিষয়ক সকল সার্ভিস পাবেন। নিচের ছবিগুলো দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবেন। 

বাংলালিংক ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসসমুহ
এফএনএফ
আবার, My connection এর Call history তে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন আপনার ইনকামিং ও আউটগোয়িং ২০ টি ভয়েস কলের বিবরন। 

কল হিস্টোরি
একইভাবে My connection এর Recharge history তে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন আপনার রিচার্জ হিস্টোরিগুলো।
রিচার্জ হিস্টোরি 
এছাড়াও My connection এর পাশে Service request এ ক্লিক করে নির্দিষ্ট কোন সার্ভিস চেয়ে বাংলালিংকের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, পোস্টটি পড়ে একটু হলেও নিজেকে কাস্টমার ম্যানেজার মনে হয়নি? 
থাক, বুকে হাত দিয়ে বলতে হবেনা। লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে প্রকাশ করুন। 
============== ধন্যবাদ ==============

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি ইমেইলে ব্যবহৃত কমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্মের সাথে

ইন্টারনেট ব্যবহারকারি হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই এক বা একাধিক ইমেইল অ্যাকাউন্ট আছে। আমরা সবাই অনেকদিন ধরে ইমেইল আদান-প্রদান করে থাকি কিন্তু ইমেইলে ব্যবহৃত কমন কিছু শব্দের অর্থ আমরা অনেকেই পরিস্কারভাবে বুঝি না। সেগুলো নিয়েই আজকে আমার এই পোস্ট।

১) To: ইমেইল পাঠাতে এটি সবচেয়ে কমন ও বাধ্যতামূলক একটি শব্দ। একসঙ্গে অনেককে মেইল পাঠাতে To ফিল্ডে কমা (,) দিয়ে প্রাপকের মেইল অ্যাড্রেসগুলো লিখতে হয়। To ফিল্ডের সবাই সবাইকে দেখতে পারবে এবং একে অপরকে রিপ্লাই দিতে পারবে। অনেকের পরিবর্তে যদি প্রাপক সংখ্যা একজন হয় সেক্ষেত্রে To ফিল্ডে কেবলমাত্র ১টি মেইল অ্যাড্রেস দিতে হয়।

২) Cc (Carbon copy): মেইল পাঠাতে এটি কমন হলেও বাধ্যতামূলক নয়। To এর মত এখানেও সবাই সবাইকে দেখতে পারবে এবং একে অপরকে রিপ্লাই দিতে পারবে। To তে একজনের মেইল আইডি লিখে বাকিগুলো Cc তে লিখা যায়।

৩) Bcc (Blind carbon copy): মেইল পাঠাতে এটি কমন হলেও বাধ্যতামূলক নয়। তবে এই অপশনটির মাধ্যমে আপনি এক্সট্রা কিছু ফ্যাসিলিটি পাবেন। (একটু মনোযোগ দিন) Bcc আইডিগুলো To ও Cc ফিল্ডের আইডিগুলোকে দেখতে পারবে এবং রিপ্লাই দিতে পারবে। কিন্তু To ও Cc এর আইডিগুলো Bcc এর আইডিগুলোকে দেখতে পারবে না এবং রিপ্লাইও দিতে পারবে না। একাধিক Bcc আইডি পরস্পরকে দেখতে পারবে না এবং রিপ্লাইও দিতে পারবে না।

৪) Send: মেইল পাঠাতে এটি আরেকটি বাধ্যতামুলক ও কমন শব্দ। Send এ ক্লিক করলে To, Cc ও Bcc ফিল্ডে যতগুলো ইমেইল আইডি আছে সবগুলোতে একসঙ্গে একই মেসেজ সেন্ড হবে।

৫) Reply: যে আইডি থেকে মেইলটি এসেছে অর্থাৎ Form ফিল্ডে যে ইমেইলটি আগে থেকেই আছে তাকে রিপ্লাই দিতে ব্যবহৃত হয়।

৬) Reply to all: Form, To ও Cc তে যতগুলো আইডি আছে সবগুলোকে একসঙ্গে রিপ্লাই দেওয়া যায় এই অপশনটির মাধ্যমে।

৭) Forward: যে আইডি থেকে মেইলটি এসেছে অর্থাৎ Form ফিল্ডে যে মেইলটি আছে বা To ও Cc তে যে আইডিগুলো আছে তাদের কাউকে রিপ্লাই না দিয়ে অন্য কোন নতুন কাউকে ইনবক্স বা সেন্ট মেইলের মেইলটি পাঠাতে Forward অপশনটি ব্যবহার করা হয়।

তথ্যগুলো যথাসম্ভব সহজ ও গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এরপরেও কারো কোন টার্ম বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি চেষ্টা করব সেগুলোর সমাধান দেয়ার। আর পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে লাইক দিতে ভুলবেন না।
========== ধন্যবাদ ==========

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ডিকশনারি লাগবে? বাংলা ডিকশনারি???

লেখাপড়া করেন কিন্তু ডিকশনারি এর নাম শুনেননি এরকম মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছেন। অর্থ খোঁজার জন্য সচরাচর আমরা যে কাগুজে বইয়ের ডিকশনারিগুলি ব্যবহার করি সেখানে শব্দার্থ খোঁজা বিশাল কাঁদার মধ্যে সুঁই খোঁজার মতই। ডিজিটাল যুগে কাগুজে বইয়ের ডিকশনারি তাই আজ পরিনত হয়েছে ডিকশনারি সফটওয়্যারে; যেখানে খুব অল্প পরিশ্রমেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব কাঙ্ক্ষিত শব্দের অর্থটিকে।

ইংলিশ টু বাংলা ও বাংলা টু ইংলিশ ডিকশনারি এর একটি আদর্শ উদাহারন হচ্ছে Bangla Dictionary সফটওয়্যারটি। এটি খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি ও পোর্টেবল। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে প্রায় বিনা পরিশ্রমেই এটি ব্যবহার করে খুঁজে পাওয়া সম্ভব কাঙ্খিত শব্দের অর্থটিকে। আর সফটওয়্যারটির সাইজও খুব বেশি নয়, মাত্র ২ মেগাবাইট।

ডাউনলোড করার পর লাল রঙের Bangla Dictionary তে ডাবল ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি অ্যাপিয়ারেন্স পাবেন। 

চিত্রে প্রদর্শিত স্থানে আপনার কাঙ্ক্ষিত ইংরেজি শব্দটি লিখুন আর ডানপাশে দেখুন শব্দটির বাংলা অর্থ। 

আপনি যদি কোন বাংলা শব্দের ইংরেজি সমার্থক শব্দ জানতে চান তাহলে সফটওয়্যারটির নিচে দেখানো স্থানে ক্লিক করুন। 

এবার Word এর স্থানে বাংলা শব্দটি লিখে Search এ ক্লিক করলে ডানপাশে পেয়ে যাবেন শব্দটির কাঙ্খিত ইংরেজি সমার্থক শব্দকে। 

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। 
ধন্যবাদ।

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

কম্পিউটার রিস্টার্টের নানা কৌশল

আজ বেশি কিছু লিখব না। ছোট্ট একটি ট্রিক্স আজ শেয়ার করব আপনাদের সাথে।

বিভিন্ন কারনে আমরা কম্পিউটার রিস্টার্ট করে থাকি। সচরাচর কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে আমরা যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করে থাকি তা হচ্ছে মাউজের মাধ্যমে Start মেনু থেকে Restart বাটনে ক্লিক করে কম্পিউটার রিস্টার্ট করা।

কিন্তু, যদি এমন হয় যে, মাউজ পয়েন্টার কাজ করছে না। তখন কি করবেন?

উপায় আছে। এরকম পরিস্থিতিতে নিচের কাজগুলো করে দেখতে পারেনঃ
১) কীবোর্ডের Windows বোতাম চেপে U চাপুন। এরপর R চাপুন। (অর্থাৎ, Windows key+U+R)।

Windows Key
২) কীবোর্ড থেকে Windows Key ও R একসাথে চাপুন।
Run অপশন আসবে।
এবার shutdown -r -t 2 হুবহু লিখে এন্টার দিন। এখানে 2 দেওয়ার অর্থ হচ্ছে 2 মিনিটের মধ্যে পিসি রিস্টার্ট নিবে। চাইলে 2 এর পরিবর্তে অন্য কোন সংখ্যাও ব্যবহার করতে পারেন।

ট্রিকসটি ভাল লাগলে লাইক দিতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।

রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ইমেইল বাউন্স করে কেন?

কম্পিউটারের পরিভাষায় "বাউন্সড ইমেইল" তাকেই বলা হয়, গ্রাহকের ইনবক্সে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়ে প্রেরকের কাছে যে মেইল ফিরে আসে। সাধারনত এ সময়ে তার সঙ্গে থাকে একটি এরর মেসেজ।


এ আবার কি ধরনের ঝামেলা?
ওকে। আগে জেনে নেয়া যাক, একজন প্রেরক সাইবারস্পেসে তার ইমেইলটি পাঠিয়ে দেবার পর ঠিক কি কি ঘটনা ঘটতে শুরু করে আর কেনই বা বাউন্সড হয়ে ফিরে আসে কোন কোন মেইল।

১) একজন ইউজার কম্পিউটারে সেন্ড বাটনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের ডোমেইন (যেমন webopedia.com) এবং ডোমেইনের মেইল সার্ভার খুঁজতে লেগে যায় তার ইমেইল সিস্টেম। যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পর গ্রাহকের মেইল সার্ভার প্রথমে চেক করে দেখে মেসেজটি "পাশ" টিকেট পাওয়ার উপযুক্ত কিনা। গ্রাহকের পক্ষ থেকে পূর্বারোপিত কোন বিধিনিষেধ বহাল থাকলে মেসেজ গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায় সার্ভার। তখনই মেইলটি বাউন্সড ব্যাক হয়ে ফিরে আসে প্রেরকের কাছে। সার্ভারের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এভাবে প্রেরকের কাছে ফিরে এলে তাকে বলা হয় "হার্ড বাউন্স"।


২) অবশ্য সার্ভারের ব্যস্ততার কারনেও অনেক সময় এ ঘটনা ঘটতে পারে।

৩) আবার ধরা যাক, গ্রাহকের মেইল সার্ভার মেসেজটি গ্রহন করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাউন্সের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কেননা, সার্ভারকে চেক করে দেখতে হবে বাস্তবে তার আওতার ভেতর আদিষ্ট গ্রাহকের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা।

৪) সার্ভারে গ্রাহকের ইমেইল ঠিকানা, গ্রাহকের ডোমেইন এবং ডোমেইনের মেইল সার্ভার খুজে না পাওয়া গেলেও বাউন্সের ঘটনা ঘটবে।

৫) প্রাপকের মেইল অ্যাড্রেস এর বানান ভুল থাকলে সিস্টেম একে গণ্য করবে একদম অস্তিত্বহীন হিসেবে। ফলে বাউন্সের ঘটনা ঘটবে।

৬) প্রাপকের মেইল স্টোর উপচে উঠলে মেইলটি সেখানে ঠাই পাবেনা এবং বাউন্সড হয়ে ফিরে আসবে প্রেরকের কাছে।

সার্ভার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর প্রাপকের অসুবিধার কারনে বাউন্সের ঘটনা ঘটলে তাকে বলা হয় "সফট বাউন্স"। তবে ইন্টারনেটে সবচেয়ে মেইল বাউন্সের পেছনে দায়ী প্রেরক কিংবা প্রাপকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক বিপর্যয়। প্রথা অনুসারে বাউন্সড ইমেইলের সঙ্গে একটি মেসেজ জুড়ে দেওয়া হয়, যেখানে মেইলটি বাউন্স হওয়ার পেছনের কারন উল্লেখ করা হয়।

পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। বিকন ব্লগের পোস্টগুলো নিয়মিত ফেসবুকের মাধ্যমে পেতে চাইলে এই পেইজটিতে লাইক দিন।
ধন্যবাদ।
- যুগান্তর ডটকম ডেস্ক থেকে সংগৃহীত

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

১ সেকেন্ডেই পরিবর্তন করুন এমপিথ্রি গানের কোয়ালিটি

এমপিথ্রি গানের কোয়ালিটির উপর গানটির সাইজ নির্ভর করে। সাধারনত ভাল কোয়ালিটির (যেমন 320 kbps) এমপিথ্রি গানগুলোর সাইজ লো কোয়ালিটির (যেমন 96 kbps) গানের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।

তবে ইচ্ছে করলেই মাত্র ৬৩৯ কিলোবাইটের ছোট্ট একটি সফটওয়্যার এর সাহায্যে বাড়িয়ে নিতে পারেন এমপিথ্রি গানের কোয়ালিটি।


সফটওয়্যারটির নাম Mp3 Quality Modifier. এটি ফ্রিওয়্যার ও পোর্টেবল; তাই ইন্সটল ও লাইসেন্স এর ঝামেলা নেই। সফটওয়্যারটি দ্বারা সহজেই গানের বিটরেট, ফ্রিকুয়েন্সি পরিবর্তন করে গানের সাইজ কম বা বেশি করতে পারবেন।


ডাউনলোড করার পর সফটওয়্যারটি চালু করে Add files/Add folder বাটনে ক্লিক করে এমপিথ্রি গানগুলো আনুন। এবার ফাইলগুলোর বামে মার্ক করে নিচের বিটরেট, ফ্রিকুয়েন্সি, ডেসটিনেশন ইত্যাদি পছন্দমত সিলেক্ট করে দিয়ে Start process এ ক্লিক করলে পছন্দের ডেসটিনেশনে গিয়ে নতুন এমপিথ্রি গানগুলো সেভ হবে।
ছবি বড় করে দেখতে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন
পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক ও কমেন্ট করুন। বিকন ব্লগের কন্টেন্টগুলো নিয়মিত ফেসবুকের মাধ্যমে পেতে চাইলে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।
ধন্যবাদ।

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

যেভাবে এক ব্রাউজারের বুকমার্কগুলো অন্য ব্রাউজারে ব্যবহার করবেন


অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছেন কিভাবে এক ব্রাউজারের বুকমার্কগুলো অন্য ব্রাউজারে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে একটি পোস্ট করতে। আজ আমি আপনাদের একটি সফটওয়্যার দিব যা দিয়ে আপনারা এক ব্রাউজারের বুকমার্কগুলো অন্য ব্রাউজারে ব্যবহার করতে তো পারবেনই আবার আপনার পিসিতে সেভও করে রাখতে পারবেন। ফলে, নতুন করে সেটআপ দিলেও হারিয়ে যাবেনা বুকমার্কগুলো।

সফটওয়্যারটির নাম Transmute Pro এবং এর সাইজ মাত্র ২.২৭ মেগাবাইট।

যেসব ব্রাউজার সাপোর্ট করেঃ
১) গুগল ক্রম
২) মজিলা ফায়ারফক্স
৩) ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার
৪) অপেরা
৫) সাফারি ইত্যাদি।

ব্যবহারঃ
প্রথমে নিচের লিঙ্ক থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিয়ে পিসিতে ইন্সটল দিন।
এবার ফুল ভার্সন করতে চাইলে ফোল্ডারের ভেতরে থাকা Patch.exe এ ডাবল ক্লিক করুন।


এখন Browse এ ক্লিক করে C\Program files\Darq software\Transmute pro এই ডিরেক্টরিতে থাকা TransmutePro.exe সিলেক্ট করে Patch করে দিন।


সফটওয়্যারটির ব্যবহার খুবই সহজ। ইন্সটল দিলে নিজেই বুঝতে পারবেন। তারপরেও আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে কিছু স্ক্রিনশট দিলাম।

ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন
ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন
ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ব্রাউজারের একটি নতুন ট্যাবে ছবিটি খুলুন
পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে লাইক দিতে ভুলবেন না। আপনাদের অনুপ্রেরনা বিকন ব্লগকে সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগাবে। 
========== ধন্যবাদ ========== 

জেনে নিন আপনি কত বিটের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন

অনেক সময় আমরা কত বিটের অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করছি তা জানা জরুরি হয়ে পড়ে। কোন কোন ভার্সনের সফটওয়্যার ৩২ বিট আবার কোন কোন ভার্সনের সফটওয়্যার ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে। সাধারনত বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেম ৩২ বিটের হয়ে থাকে। কত বিটের অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করছি তা বের করার অনেক পদ্ধতি আছে। সেগুলো থেকে সবচেয়ে সহজ ও ইউজফুল পদ্ধতিটি আমি নিচে আলোচনা করছি।

চলুন তাহলে বের করি আমরা কে কত বিটের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি।

১) Windows XP ব্যবহারকারীরাঃ
Start থেকে Run এ গিয়ে winmsd.exe লিখে এন্টার দিন। এবার বামপাশের System Summery থেকে ডানপাশের Processor অপশনটি ভাল করে লক্ষ্য করুন।


> যদি এ অপশনটি x86 দিয়ে শুরু হয় তাহলে আপনি ৩২ বিটের উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন।
> আর যদি অপশনটি ia64 বা AMD64 দিয়ে শুরু হয় তাহলে আপনি ৬৪ বিটের উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন।

২) Windows 7 ব্যবহারকারীরাঃ
খুব সহজ। My Computer এ রাইট ক্লিক করে Properties এ যান। এবার নিচের চিত্রের মত System type এ লক্ষ্য করুন।


Windows Vista এর জন্য দিলাম না। কারো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে আওয়াজ দিয়েন।
========== ধন্যবাদ ==========