সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১২

টাইটানিকের দুর্ঘটনার মুল কারণ ও টাইটানিক নিয়ে নির্মিত কিছু মুভি



১৯১২ সালে প্রথম বিহারেই ১৫০০ যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। এরপর শুরু হয় ডুবে জাওয়ার কারন অনুসন্ধান। প্রচারিত হতে থাকে নানা রহস্যময় ও রোমাঞ্চকর কাহিনি। ১৯৯৮ সালের ১৯ অক্টোবরে টাইমস জানিয়েছে এমনই এক রহস্যময় কাহিনী।

টাইটানিক জাহাজে ছিল মিশরীয় এক রাজকুমারীর অভিশপ্ত মমি। বলা হয়, মমির অভিশাপের কারনেই ভাসমান আইসবার্গের সাথে ধাক্কা খেয়েছিল টাইটানিক।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে মারা যান "প্রিন্সেস অভ আমেন-রা"। নীলনদের পাশে লুক্সরে তাঁর সৎকার করা হয়। উনিশ শতকের নব্বই শতকের শেষ দিকে চারজন ইংরেজকে ওই রাজকুমারীর মৃতদেহসহ একটি মমি কেনার জন্য আহ্বান জানান হয়। উৎসাহী ইংরেজদের একজন বেশ কয়েক হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে মমিটি কেনেন এবং সেটিকে নিয়ে আসেন তাদের হোটেলে। কয়েকঘণ্টা পর মরুভুমির দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায় ওই ক্রেতা ইংরেজকে। তিনি আর কখনো ফিরে আসেননি।
আমেন-রা
পরের দিন আরেকজন ইংরেজ এক মিসরীয় ভৃত্য কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। ফলে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়।

তৃতীয় ব্যক্তি  দেশে ফিরে আসেন এবং দেখেন যে, ব্যাংকে গচ্ছিত সমস্ত অর্থ লোপাট হয়ে গেছে অন্য কারো জালিয়াতির মাধ্যমে।
লুক্সরে(আমেন-রা এর সমাধি)
আর চতুর্থ ব্যক্তি পড়েন ভীষণ অসুখে। চাকুরি চলে যায় তার। শেষপর্যন্ত তিনি রাস্তায় দেশলাই বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হন।

এদিকে অনেক ঝামেলার পর মমিটি পৌঁছে যায় ইংল্যান্ডে। কিন্তু এরপরেও অভিশপ্ত অধ্যায়ের শেষ হয়নি। ওই কফিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত যেকোনো মানুষের ভাগ্যে জুটেছিল দুর্ঘটনা বা মৃত্যু।
আমেন এবং আমেন-রা
এমনকি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মমিটির একজন দর্শনার্থীর ভাগ্যেও জুটেছিল চরম দুর্দশা। ওই দর্শনার্থী মহিলা চরম তাচ্ছিলভরে একটি ময়লা পরিস্কার করার কাপড় দিয়ে মুছেছিলেন কফিনে অঙ্কিত রাজকুমারীর মুখচ্ছবি। কিছুদিন পরে তার সন্তান হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মমিটিকে বেসমেন্টে সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই মমি সরানোর কাজে অংশগ্রহনকারী একজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই কাজের তত্ত্বাবধায়ককে তার অফিসের ডেস্কের উপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্বভাবতই ব্যপারটি সংবাদপত্রের নজরে আসে। একজন ফটো সাংবাদিক ছবি তুলে ডেভলপ করে দেখতে পান রাজকুমারীর মুখের বদলে এক বীভৎস চেহারা। পরে ওই সাংবাদিক নিজের গুলিতে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়।

প্রায় দশ বছর ধরে ঘটতে থাকে এইসব নানা ঘটনা-উপঘটনা। চূড়ান্তভাবে মমিটিকে বিক্রি করে দেয়া হয় একজন সৌখিন সংগ্রাহকের কাছে। বিচিত্র ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হওয়ায় মমিটিকে তিনি রেখে দেন নিজ বাড়ির চিলেকোঠায়।

অভিশপ্ত ঘটনার পরও একজন মার্কিন প্রত্নতত্ত্ববিদ কিনে নেন মিশরীয় রাজকুমারীর সেই মমিটি। নিউইয়র্কগামী একটি জাহাজে বুক করেন মমিটি, নিজেও ওঠেন ওই জাহাজে। বলুন তো জাহাজটির নাম কি?

হ্যাঁ। সেই জাহাজটির নামই "টাইটানিক"।

এবার আসুন দেখি টাইটানিক নিয়ে নির্মিত কিছু সিনেমা ও তাদের ডাউনলোড লিঙ্কঃ

১) Titanic 2 (2010)
ডাউনলোড(মিডিয়াফায়ার,700MB)


২) Titanic (1997)
ডাউনলোড(মিডিয়াফায়ার, 682MB)


৩) Titanic (1996)


৪) Raise the Titanic (1980)


৫) S.O.S Titanic (1979)


৬) A Night to Remember (1958)


৭) Titanic (1953)


৮) Titanic (1943)
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করে আপনার ভাললাগা প্রকাশ করুন। বিকন ব্লগের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো নিয়মিত পেতে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।
ধন্যবাদ।

লেখক সম্পর্কে

  • আমি বিকন, মোঃ নেওয়াজ মোরশেদ (বিকন); বিকন ব্লগ এর একমাত্র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার। ইন্টারনেট জগত আর কম্পিউটারের প্রতি অপরিসীম টান অনেকটা এডিক্টেড হিসেবেই ডিফাইন করেছে আমাকে। অনেক কিছু জানতে চাই, যা জানি শেয়ার করতে চাই। আমার সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।

    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: টাইটানিকের দুর্ঘটনার মুল কারণ ও টাইটানিক নিয়ে নির্মিত কিছু মুভি Rating: 5 Reviewed By: Unknown
    Scroll to Top