এ আবার কি ধরনের ঝামেলা?
ওকে। আগে জেনে নেয়া যাক, একজন প্রেরক সাইবারস্পেসে তার ইমেইলটি পাঠিয়ে দেবার পর ঠিক কি কি ঘটনা ঘটতে শুরু করে আর কেনই বা বাউন্সড হয়ে ফিরে আসে কোন কোন মেইল।
১) একজন ইউজার কম্পিউটারে সেন্ড বাটনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের ডোমেইন (যেমন webopedia.com) এবং ডোমেইনের মেইল সার্ভার খুঁজতে লেগে যায় তার ইমেইল সিস্টেম। যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পর গ্রাহকের মেইল সার্ভার প্রথমে চেক করে দেখে মেসেজটি "পাশ" টিকেট পাওয়ার উপযুক্ত কিনা। গ্রাহকের পক্ষ থেকে পূর্বারোপিত কোন বিধিনিষেধ বহাল থাকলে মেসেজ গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায় সার্ভার। তখনই মেইলটি বাউন্সড ব্যাক হয়ে ফিরে আসে প্রেরকের কাছে। সার্ভারের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এভাবে প্রেরকের কাছে ফিরে এলে তাকে বলা হয় "হার্ড বাউন্স"।
২) অবশ্য সার্ভারের ব্যস্ততার কারনেও অনেক সময় এ ঘটনা ঘটতে পারে।
৩) আবার ধরা যাক, গ্রাহকের মেইল সার্ভার মেসেজটি গ্রহন করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাউন্সের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কেননা, সার্ভারকে চেক করে দেখতে হবে বাস্তবে তার আওতার ভেতর আদিষ্ট গ্রাহকের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা।
৪) সার্ভারে গ্রাহকের ইমেইল ঠিকানা, গ্রাহকের ডোমেইন এবং ডোমেইনের মেইল সার্ভার খুজে না পাওয়া গেলেও বাউন্সের ঘটনা ঘটবে।
৫) প্রাপকের মেইল অ্যাড্রেস এর বানান ভুল থাকলে সিস্টেম একে গণ্য করবে একদম অস্তিত্বহীন হিসেবে। ফলে বাউন্সের ঘটনা ঘটবে।
৬) প্রাপকের মেইল স্টোর উপচে উঠলে মেইলটি সেখানে ঠাই পাবেনা এবং বাউন্সড হয়ে ফিরে আসবে প্রেরকের কাছে।
সার্ভার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর প্রাপকের অসুবিধার কারনে বাউন্সের ঘটনা ঘটলে তাকে বলা হয় "সফট বাউন্স"। তবে ইন্টারনেটে সবচেয়ে মেইল বাউন্সের পেছনে দায়ী প্রেরক কিংবা প্রাপকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক বিপর্যয়। প্রথা অনুসারে বাউন্সড ইমেইলের সঙ্গে একটি মেসেজ জুড়ে দেওয়া হয়, যেখানে মেইলটি বাউন্স হওয়ার পেছনের কারন উল্লেখ করা হয়।
পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। বিকন ব্লগের পোস্টগুলো নিয়মিত ফেসবুকের মাধ্যমে পেতে চাইলে এই পেইজটিতে লাইক দিন।
ধন্যবাদ।