বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক সমাদৃত ও গেরিলা যোদ্ধাদের সিগনেচার হিসেবে পরিচিত বহুল ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের নাম একে-৪৭।
১৯৪৭ সালে আবিষ্কৃত হয়ে আজ পর্যন্ত প্রায় ৭০ মিলিওনেরও বেশি একে-৪৭ ও ১০০ মিলিওনেরও বেশি একে-৪৭ টাইপ আগ্নেয়াস্ত্র বিশ্বের প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। একে-৪৭ ডিজাইন করেন সোভিয়েত ট্যাংক কম্যান্ডার মিখাইল কালাশনিকভ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একে-৪৭ এর চাইনিজ টাইপ ব্যবহৃত হয়।
এক নজরে একে-৪৭ ঃ
- AK-47 পূর্ণরূপঃ Avtomat Kalashnikova Obraztsa-1947
- প্রস্তুতকারী দেশঃ সোভিয়েত রাশিয়া
- প্রস্তুতকারকঃ মিখাইল কালাশনিকভ
- ক্যালিবারঃ ৭.৬২x৩৯ মিমি
- অপারেটিং ঃ গ্যাস অপারেটেড
- ওভারঅল দৈর্ঘ্যঃ ৮৭০ মিমি
- ব্যারেল এর দৈর্ঘ্যঃ ৪১৫ মিমি
- খালি ম্যাগাজিন সহ ওজনঃ AK-৪.৩ কেজি, AKM-৩. ১৪ কেজি
- ম্যাগাজিন ধারণক্ষমতাঃ ৩০ রাউণ্ড
- সাইক্লিক রেট অব ফায়ারঃ মিনিটে ৬০০ রাউণ্ডস
জনপ্রিয়তার কারণঃ
- সৈন্যদের মধ্যে একে-৪৭ এর জনপ্রিয়তার মুল কারন এটি পানিতে ভিজিয়ে, ধুলাতে রেখে বা এর উপর দিয়ে রাস্তা মেরামতের রোলার চালানোর পরও এটিকে আগের মতই ব্যবহার করা যায় যা এর সমপর্যায়ের অন্যান্য অস্ত্রের ক্ষেত্রে অসম্ভব।
- একে-৪৭ এর অন্যতম বৈশিষ্ট হল এর বুলেটের মারাত্মক ভেদনক্ষমতা। এটি থেকে ৭.৬২x৩৯ মিমি বুলেটকে ৭১৫ মিটার/সেকেন্ডে ছুড়লে তা ৮ ইঞ্চি কাঠ ও ৫ ইঞ্চি কনক্রিটকে সহজে ভেদ করার ক্ষমতা রাখে।
একে-৪৭ এর বুলেট |
- এতে কাস্টমাইজ বুলেটও ব্যবহার করা যায়।
- এতে সিঙ্গেল শট, ব্রাষ্ট অফ ফায়ার এবং গ্রেনেড ছোড়ারও সুবিধা আছে।
- নির্ভরতার দিক থেকে একে-৪৭ এক অনন্য উদাহরণ।
- একে-৪৭ এ কখনো ব্যাক ফায়ার হয়না।
বিভিন্ন টাইপের একে-৪৭ |
- পৃথিবীর যেকোনো স্থানে একে-৪৭ এর ব্যবহার সম্ভব।
- তীব্র শীত, গরম বা ভেজা আবহাওয়াতে এর কিছুই হয়না।
- অন্যান্য রাইফেলের তুলনায় একে-৪৭ এ জ্যাম হওয়ার রেট কম।
তথ্যগুলো ভাল লাগলে পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করবেন। বিকন ব্লগের কনটেন্টগুলো নিয়মিত ফেসবুকের মাধ্যমে পেতে ব্লগটির ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিন।
ধন্যবাদ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন