মধু একটি উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল পদার্থ এবং সুপেয়।সুন্দরবনের বেশিরভাগ মধু কেওড়া গাছের ফুল থেকে উৎপন্ন হয়। সুন্দরবনের মাওয়ালি সম্প্রদায়ের লোকেরা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং তা বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে।
চলুন তাহলে দেখে নিই খাঁটি মধু চেনার উপায়গুলোঃ
- খাঁটি মধুতে কোন কটু গন্ধ থাকবে না।
- মানুষের জন্য বিষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও এর প্রভাব মধুতে পড়ে না।
- মধু প্রিজারভেটিভ গুণসম্পন্ন ও পুষ্টিতে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য। তাই মধুতে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়না।
- মধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরন, নিস্কাশন, সংরক্ষন ও বোতলজাতকরনের সময় অন্য কোন পদার্থের সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয় না।
- মধুর দ্রাব্যতা পরীক্ষাঃ এ পদ্ধতিতে এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ মধু নিতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে গ্লাসটি ঝাঁকাতে হয়। ভেজাল মধু পুরোপুরি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়। আর মধু যদি খাঁটি হয় তাহলে পানিতে পুরোপুরি দ্রবীভূত না হয়ে ছোট ছোট পিণ্ডের আকারে অবস্থান করে।
- মধুর শিখা পরীক্ষাঃ একটি কটন উয়িক নিয়ে এর এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবাতে হয়। তারপর উঠিয়ে হালকা শেক দিতে হবে। এবার এটিকে একটি জ্বলন্ত মোমবাতির শিখার মধ্যে ধরলে যদি এটি জ্বলতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে খাঁটি মধু। আর যদি না জ্বলে তাহলে বুঝতে হবে মধুতে পানি মেশানো আছে। যদি এমন হয় যে, কটন উয়িকটি কিছু ক্র্যাকলিং সাউন্ডসহ জ্বলছে তাহলে বুঝতে হবে মধুতে পানি মেশানোর পরিমান অল্প।
- মধুর শোষণ পরীক্ষাঃ এ পদ্ধতিতে কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। মধু যদি ব্লটিং পেপারে শোষিত হয়ে যায় তাহলে ভেজাল আর যদি শোষিত না হয় তাহলে আসল।