তবে নিচের টিপসগুলো মেনে চললে ব্যাটারির সব ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে বলে আমি মনে করিঃ
- প্রয়োজন ছাড়া ওয়াই-ফাই জাতীয় ওয়্যারলেস কানেকশনগুলো অফ করে রাখুন। অনেকে ওয়াই-ফাই এর নেটওয়ার্ক নাই এমন এলাকাতেও ওয়াই-ফাই অন করে রাখতে পছন্দ করেন। এটি বর্জন করুন।
- ইদানিং 3G মোবাইলগুলো বাজার দখল করে নিয়েছে। দ্রুত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতার জন্য iPhone 3G, Blackberry ইত্যাদি ব্রান্ডগুলো 3G ফিচার সরবরাহ করে থাকে। সম্ভব হলে, মোবাইলের EDGE ও GPRS ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করুন; 3G অফ রাখুন।
- অকারনে মোবাইল ভাইব্রেট করে রাখা বর্জন করুন। কিপ্যাডের সাউন্ড সাইলেন্ট করে রাখাটাই উত্তম।
- মোবাইল ডিসপ্লে এর আলো যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যতটুকু আলো হলে আপনি মোবাইলে কাজ করতে পারবেন ঠিক ততটুকু আলো রেখে বাকিটুকু কমিয়ে রাখুন।
- মোবাইলের স্ক্রিন যথাসম্ভব সিম্পল রাখার চেষ্টা করুন। স্ক্রিন্সেভার ও এনিমেটেড ওয়ালপেপার গুলো আপনার মোবাইলকে রাঙিয়ে তুলবে ঠিক কিন্তু ব্যাটারির আয়ু আশঙ্কাজনক হারে কমিয়ে ফেলবে।
- মোবাইলের কোন অ্যাপ্লিকেশনের কাজ শেষ করার পর যত তারাতারি সম্ভব তা ক্লোজ করে রাখুন।
- মোবাইল গেমের ব্যবহার আপনার ব্যাটারি লাইফের ব্যস্তানুপাতিক। এদিকে লক্ষ্য রেখে গেম খেলুন।
- অনেক মোবাইল আবার কম্পিউটারের মত অটোম্যাটিক আপডেট নেয়। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলের অটোম্যাটিক আপডেট বন্ধ করে দিন।
- যেসব এলাকায় আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক থাকে না সেসব এলাকায় মোবাইল বন্ধ করে রাখুন।
- অকারণে মোবাইল ব্লুটুথ অন করে রাখবেন না। প্রয়োজন শেষে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন।
- সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যাটারি পুরো খালি করে ফুল চার্জ দিন। এতে করে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু বাড়বে। সম্ভব হলে প্রতিবার ব্যাটারি পুরো খালি না করে চার্জে দিবেন না কিংবা ফুল চার্জ না হতেই আনপ্লাগ করবেন না। চার্জ দিতে অটোচারজার ব্যবহার না করে অরিজিনাল চারজার ব্যবহার করুন।
- ব্যাটারি ওভারহিট করা থেকে বিরত থাকুন।
- অহেতুক মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।